প্রতিবেদন: আপনার বাণী কেউ শুনতে চায় না, আপনার যদি ক্ষমতা থাকে তো কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রিপোর্টগুলিই টুইটারে দিয়ে দিন না, সাধারণ মানুষ সবটা বুঝে নেবে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তুলনাটা দিয়ে টুইট করুন। আপনাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের গুজরাতে কী হাল হয়েছে, আপনাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার উত্তরপ্রদেশে কী হাল করেছে পশ্চিমবঙ্গের পাশে এসব রাজ্যকে রাখলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমাদের অনুরোধ, ফের যখন টুইট করবেন এই রিপোর্টগুলি সেখানে দিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরাতে পালিত হল গান্ধী জয়ন্তী, হল পদযাত্রাও
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন রিপোর্টকে হাতিয়ার এই ভাষাতেই শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে পালটা তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শনিবার সাত সকালে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রাজ্যকে একদফা খোঁচা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন তিনি। এদিনের টুইটের শেষে একটি লাইনেই ফের রাজ্য সরকার কটাক্ষ রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, গণতন্ত্র রক্ষায় হিংসা বন্ধ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরাতে পালিত হল গান্ধী জয়ন্তী, হল পদযাত্রাও
গত বছরও মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।তাঁর এই টুইটের পরই সাংবাদিক বৈঠকে সরব হন কুণাল। তিনি বলেন, রাজ্যপাল পদ অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার। কিন্তু এই ব্যক্তি জগদীপ ধনকড় বিজেপির দলদাস, এজেন্ট, দালাল। বিজেপির হয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। রাজ্যপাল পদের যে সাংবিধানিক পদমর্যাদা ও আমরা তাঁকে সম্মান করি, কিন্তু তা ধুলোয় লুটিয়ে দিচ্ছেন এই ব্যক্তি। আমি তাঁকে অনুরোধ করবো, আপনি তো কেন্দ্রের প্রতিনিধি, আপনি একবার কেন্দ্রের রিপোর্টগুলো পড়ে দেখুন, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা, মহিলাদের নিরাপত্তা, বয়স্ক মানুষদের নিরাপত্তা, সাইবার ক্রাইম বিভিন্ন ভাবে যেগুলো ভাগ করা আছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে আপনাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলোর থেকে অনেক বেশি মানুষ নিরাপদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রাজ্যে। রাজ্য সরকার ভালো কাজ করছে, আপনাদের কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টগুলি তা স্বীকার করছে।