মানস দাস, মালদহ : মা দুর্গাকে চণ্ডী রূপে পুজো করা হয় মালদহের ঐতিহ্যবাহী চাঁচল রাজবাড়িতে। উৎসবের কদিন তো বটেই, সারা বছর দিনে চারবেলা চলে পূজার্চনা। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে উত্তর মালদহের রাজা ছিলেন রামচন্দ্র রায়চৌধুরি। তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবী চণ্ডী। সেবার থেকেই শুরু চাঁচল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। বর্তমানে পুজোর বয়স ৩৫০ বছর। জায়গার নাম পাল্টে হয়েছে পাহাড়পুর।
আরও পড়ুন-স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড
এখনও ওখানেই রয়েছে ওই দুর্গামন্দির। প্রতি বছর সেখানেই চাঁচল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। প্রথা মেনে প্রতিবার অষ্টধাতুর চতুর্ভূজা মা চণ্ডীকে দুর্গামন্দিরে নিয়ে আসা হয়। দশমীতে তিনি ফের রাজবাড়িতে ফিরে যান। ১৭ দিন ধরে চলে ৩৫০ বছরের চাঁচলের রাজবাড়ির পুজো। সময় বয়ে গিয়েছে, নেই রাজা, নেই রাজ্যপাটও। তবুও ঘটা করে পুজো হয় প্রতি বছর। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য, কৃষ্ণানবমী তিথিতে দুর্গামন্দিরে কল্পারম্ভ হয়। সপ্তমীর দিন মা চণ্ডী ঠাকুরবাড়ি থেকে দুর্গামন্দিরে আসেন পুজো নিতে। প্রথমাবধি অষ্টমীতে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। দশমীর পুজো শেষে পাহাড়পুর থেকে ঠাকুরবাড়ি ফিরে যান সিংহবাহিনী।
আরও পড়ুন-সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে চিন: নারাভানে
কথিত আছে, এক সময় সতীঘাটায় মহানন্দার পশ্চিম পাড়ে মহামারী দেখা দিয়েছিল। তখন দেবী সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, গোধূলিলগ্নে বিসর্জনের সময় তারা যেন মাকে আলো হাতে পথ দেখায়। মাকে আলো দেখানোর পরই মহামারী দূর হয়। তখন থেকেই প্রতি বছর বিসর্জনের সময় সেখানকার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে লণ্ঠন, মোমবাতি দেখায়। সেই রীতি এখনও প্রচলিত রয়েছে। পাহাড়পুর দুর্গামন্দিরের পুরোহিত অচিন্ত্যকুমার মিশ্র বলেন,৩৫০ বছর আগে এই পুজোর শুরু। মা এখানে চণ্ডী রূপে পূজিত হন।