প্রতিবেদন : ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ তর্পণ হবে। বাকি কর্মসূচিও পালন হবে। কিন্তু এবার দলবদলু গদ্দার শুভেন্দুকে সেখানে ঢুকতে দেবেন না নন্দীগ্রামের মানুষ। একসময়ের সিপিএমের হার্মাদ আর এখন বিজেপির জল্লাদদের নিয়ে শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে ঢুকে পবিত্র শহিদ বেদিকে অপবিত্র করে প্রতি বছর। এবার নন্দীগ্রামের মানুষ তা আর হতে দেবে না। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনা, বিপন্ন কৃষকরা
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ ও অন্যান্য নেতারা কলকাতার বাড়িতে দেখা করেন কুণালের সঙ্গে। সেখানেই আগামী ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের শহিদ তর্পনের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক হয়। বাপ্পাদিত্য বলেন, ১৪ মার্চ গোকুলনগরে সকাল ১০টায় ও সোনাচূড়ায় সকাল ১১টায় শহিদ স্মরণে সভা হবে। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় শহিদ তর্পণ হবে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে শুভেন্দু অধিকারী সেটা হাইজ্যাক করেছেন। নন্দীগ্রামে পুনরায় গণজাগরণ ঘটছে। তাঁর সংযোজন, নব সামন্ত, সেদিনের সিপিএমের হার্মাদ আজ বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। এদের মতো লোককে নিয়ে গদ্দার শুভেন্দু ওই দিন নন্দীগ্রামে ঢোকে। শহিদ বেদি অপবিত্র করে। এবার এর জবাব দিতে হবে। নন্দীগ্রামে সাধারণ মানুষ শহিদ হয়েছেন। শহিদের রক্তের জাত-ধর্ম হয় না। উনি শহিদদের ধর্মের মাপকাঠিতে ভাগ করেন৷ সেদিন রাস্তাতেই দেখা হবে ওনার সাথে। সাফ কথা বাপ্পাদিত্যের।
আরও পড়ুন-স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ এল বিধানসভায়, দলের মধ্যেই বেজায় কোণঠাসা দলবদলু
কুণাল বলেন, ১০টা মামলা রিওপেন করিয়েছেন শুভেন্দু৷ সেগুলি সিপিএমের করা মামলা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর সব জবাব ১৪ মার্চ দেওয়া হবে।