প্রতিবেদন : আর কয়েক মাস পরেই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন (karnataka assembly election)। নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে করে দেখতে শনিবার কর্নাটকে গিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, কর্নাটকে কি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? মানুষ কি কমিশনের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারবে? রাজীব কুমার এই প্রশ্নের কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। পরিবর্তে তিনি বলেন, কমিশন এখনও পর্যন্ত ৪০০টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (karnataka assembly election) সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছে। কমিশন ১৭টি লোকসভা নির্বাচন করেছে। ১৬টি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছে। কিন্তু তারপরও কমিশনকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়। দেশ আজ যে রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক স্থায়িত্ব অর্জন করেছে তার কারণ দেশবাসী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থা ও ভরসা রাখে। অথচ কমিশনের এই কৃতিত্বকে কখনওই স্বীকার করা হয় না। বরং কমিশনকে প্রতি নির্বাচনেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিটি নির্বাচনের ফলাফল মানুষ চোখ বুজে মেনে নিচ্ছে। ইভিএম বা ব্যালটের ফলাফলকে চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার হস্তান্তর হচ্ছে। আজকের বহু উন্নত দেশেও ভারতের মতো এত মসৃণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর হয় না। কিন্তু তারপরেও কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একইসঙ্গে তাঁর খেদ, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা কখনওই উচিত নয়।
আরও পড়ুন: সতীশকে ১৫ কোটির জন্য বিষ খাওয়ান স্বামী!