সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : বালাসন নদীর অবৈধ বালি খাদানে চাপা পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই করা পদক্ষেপ নিল জেলা প্রশাসন। শিলিগুড়ি মহকুমার সমস্ত নদী থেকে বালি-পাথর তোলা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে প্রতিদিনই চুরি যাচ্ছিল বালি ও পাথর। রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে বালি চুরি করতে গিয়ে বালি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জন নাবালক-সহ এক কিশোরের।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের টাকায় বিজেপির উৎসব
এরপরই রাতের অন্ধকারে বালি-পাথর চুরি বন্ধ করতে তৎপর হয়ে ওঠে জেলাশাসক। জেলাশাসকের নির্দেশেই নদী থেকে বালি পাথর চুরি বন্ধ করতে ভূমি দফতর ও পুলিশের যৌথ একটি টিম তৈরি করা হয়। এ-ছাড়াও দুটি নির্দিষ্ট জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে চেকপোস্ট। মূলত বালাসন নদী থেকে বালি-পাথর চুরি করে যে রাস্তা দিয়ে লরিগুলি যায় সেগুলোকেই নজরদারির জন্যই নির্দিষ্ট জায়গায় চেকপোস্ট তৈরি করা হচ্ছে। মাটিগাড়ার খাপরাইল মোড় সংলগ্ন বারসানা হোটেলের কাছে একটি চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে, অন্য আরেকটি চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে ফাঁসিদেওয়া আন্ডারপাশে।
আরও পড়ুন-গ্রুপ সি চাকরিহারা ২ অস্বাভাবিক মৃত্যু
এ ছাড়াও পুলিশ-প্রশাসন রাউন্ড দা ক্লক অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে। সোমবার এই সমস্ত বিষয় নিয়ে মাটিগাড়া বিডিও অফিসে একটি বৈঠক হয় যেখানে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে পুলিশ প্রশাসনিক আধিকারিকর উপস্থিত ছিলেন। এই বিষয়ে মাটিগাড়ার বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, দুটি জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। দায়িত্বে থাকবেন ভূমি দফতরের একজন রেভিনিউ অফিসার এবং একজন পুলিশ আধিকারিক ও দুজন কনস্টেবল।