প্রতিবেদন : দলবদলু গদ্দার চলে যেতেই শহিদ বেদি ধুয়ে তীব্র আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চের নৃশংস গণহত্যায় যারা জড়িত ছিল, তৎকালীন সিপিএমের হার্মাদ, যারা আজ বিজেপির জল্লাদ, তাদের নিয়েই আদালতের নির্দেশে সকালে নন্দীগ্রামের শহিদ বেদি অপবিত্র করায় তৃণমূল কংগ্রেস ও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় প্রথমেই শহিদ বেদি গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে পবিত্র করে।
আরও পড়ুন-বকেয়া ১৭৬৩ কোটি, সিঁদুরে মেঘ ইপিএফে
এদিন প্রথমে গোকুলনগরের অধিকারীপাড়া, তারপর সোনাচূড়া, ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণ সভা হয়। উপচে পড়া ভিড়ে নন্দীগ্রাম বুঝিয়ে দিয়েছে আন্দোলনের পবিত্র মাটিতে বেইমান-গদ্দারের কোনও জায়গা নেই। নিজের বক্তৃতায় নন্দীগ্রামের লোডশেডিং বিধায়ককে ‘অমাবস্যার চাঁদ’ বলে কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের সভাপতি বাপাদিত্য গর্গ বলেন, সিপিএমের হার্মাদ হিসেবে যাদের হাতে রক্ত মাখা তাদেরকেই আজ বিজেপির জল্লাদ বানিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের মানুষ এই গদ্দারদের কোনওদিন জায়গা দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।
আরও পড়ুন-বহিষ্কৃত কুন্তল-শান্তনু, দলের নীতি স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল
এদিন সকাল ১১টা থেকে দীর্ঘক্ষণ চলে স্মরণ সভা। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সৌমেন মহাপাত্র, শহিদ মাতা ফিরোজা বিবি, অখিল গিরি, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রাও তুলোধোনা করেছেন ভুঁইফোঁড় বিজেপির জল্লাদ নেতাকে। এদিন নাম না-করে শুভেন্দুকে নিশানা করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, শুভ-ইন্দু নন, উনি আসলে অমাবস্যার চাঁদ। এক ভুঁইফোঁড় বিজেপি নেতা আজ শহিদ তর্পণ করতে গেছেন। গেছেন কাদের সঙ্গে? যারা সেদিন শহিদ করেছিল, যাদের হাত রক্তে রাঙা তাঁদের হাত ধরে আজ শহিদ তর্পণ করতে গেছেন। তাঁর সংযোজন, ওখানে গিয়ে মিডিয়ার সামনে বলছেন, আগামী ১৪ মার্চ উনি নাকি গ্যারেজ করে দেবেন। উনি নিজে গ্যারেজ হয়ে যাবেন। গ্যারেজ ওর কপালেই লেখা আছে। তোপ চন্দ্রিমার।
আরও পড়ুন-দেড় বছরের ডিএ দেবে না কেন্দ্র, সংসদে মন্ত্রী
তিনি বলেন, আজ এই শহিদ দিবসের মঞ্চে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে রাজনৈতিক দল এখন দিল্লি শাসন করছে, ওদেরকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাধ্যমে শহিদ করার। আমরা মারব না। রক্তের খেলা খেলব না। শুধু মানুষের ভালবাসায় রাজনৈতিক লড়াই দিয়েই ওদের শহিদ করব। এই শপথই হোক আজ। সাফ কথা মন্ত্রীর।
বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, নন্দীগ্রামে সব ধর্মের মানুষের বসবাস। শুভেন্দু এখানেও ধর্মের কার্ড খেলছে। শান্ত নন্দীগ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে যা নন্দীগ্রামের মানুষ বরদাস্ত করবে না।