প্রতিবেদন : এবারে ব্যতিক্রমী মাত্রা এবং গতি পেতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা (WB Health Department)। কেন্দ্রের বঞ্চনার পরিণতিতে চরম আর্থিক সংকট সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতরকে ২০০ কোটি টাকা বিশেষ অনুদান দিচ্ছে রাজ্য। লক্ষ্য একটাই, স্বাস্থ্য পরিষেবার অত্যাধুনিকীকরণ এবং তা তৃণমূলস্তরে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া। অবশ্যই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন। কোন কোন কাজে এখনই টাকা জরুরি তা চিহ্নিত করে সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে একটি তালিকা পাঠিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল সার্ভিস কমিশন। এরই ভিত্তিতে ১৯৬ কোটিরও বেশি অর্থ জরুরি ভিত্তিতে মঞ্জুর করেছে অর্থ দফতর। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, এসএসকেএম থেকে শুরু করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ, আমতা, বসিরহাট, সাঁইথিয়ার গ্রামীণ হাসপাতাল এবং রাজ্যের ৪১টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল বিশেষভাবে উপকৃত হবে রাজ্যের এই বিশেষ আর্থিক অনুদানে। পিজির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দু’টি বিষয়ে। বকেয়া মেটানো এবং আধুনিকীকরণ। জানা গিয়েছে, পিজির আউটডোর, নেফ্রোলজি বিভাগ, ক্যানসার চিকিৎসার জন্য লাইন্যাক মেশিন বসানো এবং সেইসঙ্গে প্রাইভেট কেবিন নির্মাণখাতে বকেয়ার অঙ্ক প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি ক্যানসার হাব, স্পোর্টস মেডিসিন, পালমোনারি মেডিসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগের আধুনিকীকরণের জন্য প্রয়োজন ১৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে নিঃসন্দেহে রোল মডেল এই পিজি। এই বিভাগের ক্যাথলাব বসানোর জন্য ১৬ কোটি টাকা মিলবে এই বিশেষ অনুদান থেকেই। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। এই হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আধুনিকীকরণ ছাড়াও সি আর্ম যন্ত্র বসানো এবং অন্যান্য খাতে ১৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা এখনই প্রয়োজন। সেই টাকারও জোগান দেবে রাজ্যের (WB Health Department) এই বিশেষ অনুদান। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, রাজ্যের ৪১টা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের আধুনিকীকরণের জন্য ১৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার ব্যবস্থাও হতে চলেছে এবার।
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের সহায়তায় পরিদর্শনে মহকুমা শাসক