ব্যুরো রিপোর্ট: উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পর করোনাবিধি মেনে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন উত্তরবঙ্গবাসী। উড়ল সবুজ আবির, চলল মিষ্টিমুখ, সাউন্ড বক্সে ফের বাজল খেলা হবে গান। রবিবার সকাল থেকেই গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বালুরঘাটের তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের চোখ ছিল টিভির পর্দায়। বালুরঘাট শহরের নিউ মার্কেট এলাকার তৃণমূলের ছাত্র যুব কার্যালয়ের সামনে শুরু হয় আবির খেলা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহেশ পারেখ কর্মীদের সঙ্গে নেত্রীর জয় উদযাপন করেন।
জলপাইগুড়িতে ধরা পড়ল উল্লাসের ছবি। তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষকনেতা অঞ্জন দাস বলেন, ‘দলের নির্দেশ অনুসারে কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও মিছিল বা অনুষ্ঠান আমরা করছি না।’ জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘২০২৪-এ আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা।’
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড জয়ে মাতোয়ারা কালীঘাট-ভবানীপুর
কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের মোড়ে শহর তৃণমূল কংগ্রেস সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘উন্নয়নের কাণ্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত ছিল।’
রবিবার সকাল থেকেই জয় নিয়ে ছিল উত্তেজনা ছিল উত্তর দিনাজপুরে। দুপুর গড়াতেই জয় নিশ্চিত ধরে নিয়ে আনন্দোল্লাসে মেতে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। চোপড়া থেকে ইটাহার সর্বত্র একই চিত্র। সকালে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়, চোপড়ায় সবুজ আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। তাঁদের দাবি, নেত্রী মহিষাসুরমর্দিনী রূপে বিজেপি-অসুরকে পরাস্ত করেছেন। বিধায়ক হামিদুর রহমান, বিধায়ক মোশারফ হোসেনও অংশ নেন উৎসবে।