প্রতিবেদন: যে সিপিএম বাংলা ভাষাকে মাতৃদুগ্ধ বলে প্রচার করত, অভিভাবকদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইংরেজি তুলে দিয়ে বাংলা ভাষায় শিক্ষা চালু করেছিল তারা। এবার সেই সিপিএম নেতার স্কুলেই অদ্ভুত ফতোয়া। স্কুলে নাকি কেউ আর বাংলাই পড়তে চাইছে না। এই অজুহাতে ছাঁটাই করা হল এক বাংলার শিক্ষিকাকে। যদিও রাজ্যে ইংরাজির পাশাপাশি বাংলাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি আইসিএসই ও সিবিএসই পাঠক্রমে বাংলা ভাষা রাখা হয়েছে। কিন্তু এই স্কুলে বাংলা পড়ার মতো পড়ুয়াই নাকি নেই। তাই বাংলার শিক্ষিকাকে ছাটাই করা হচ্ছে। এটা শিক্ষিকাকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের ১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহ নওদাপাড়া হোলি চাইল্ড স্কুলের ঘটনা। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিআইএম নেতার ওই স্কুলেই বাংলাকে ‘অস্তিত্বহীন’ তকমা দিয়ে বাংলার এক শিক্ষিকাকে ছাঁটাইয়ের চিঠি ধরানো হয়েছিল। চিঠিতে লেখা হয় বাংলা নাকি ‘নন-এক্সিজটেন্ট’ অর্থাৎ অস্তিস্বহীন, অপ্রয়োজনীয় ভাষা। এই কথা স্কুলের লেটার হেডে লিখে বাংলার শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর চিঠির নিচে যাঁর স্বাক্ষর রয়েছে, তিনি কমলেশ বসু। এলাকার পরিচিত সিপিআইএম নেতা। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি ‘জাগোবাংলা’। তবে, ওই চিঠি ভাইরাল হতেই, মুখ বাঁচাতে শনিবার আরও একটি চিঠি দেওয়া হয় ওই শিক্ষিকাকে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলার পড়ুয়া না থাকার কারণেই তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।