মণীশ কীর্তনিয়া, পুরী: তিনদিনের ওড়িশা সফরে মঙ্গলবার পুরী পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেল প্রায় সওয়া চারটে নাগাদ পুরীর স্টেট গেস্ট হাউস নির্মাণ নিবাসে পৌঁছন তিনি। গোটা পুরী জুড়ে সেসময় অঝোর ধারায় বৃষ্টি। যে কোনও সময়ের বৃষ্টিকে তাঁর ও তাঁর দলের প্রতি ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলেই মনে করে থাকেন। সে ধর্মতলার একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ হোক কিংবা কোনও নির্বাচনী জনসভা।
আরও পড়ুন-বকেয়া আটকে রাখার চক্রান্ত, ২৯-৩০ পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর হয়ে গাড়িতে পুরী পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে এসেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এসেছেন কয়েকজন আধিকারিকও। আজ বুধবার বিকেলে জগন্নাথ দর্শন ও পুজো দেবেন তিনি। তার আগে পুরীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গেস্ট হাউস হবে বলে ঠিক হয়েছে, সেই জমি পরিদর্শনে যেতে পারেন। এ বিষয়ে অধিকারিকদের নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করে নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি গেস্ট হাউসে পুরী ঘুরতে আসা বাংলার বাসিন্দারা থাকতে পারবেন। বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে তাঁর। বৈঠক সেরে ওইদিনই কলকাতা ফিরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-ঠিক ডায়েটেই বাড়বে হিমোগ্লোবিন
২০২৪-এর আগে গোটা দেশ জুড়ে অবিজেপি ও অকংগ্রেসি দলগুলিকে একসঙ্গে এনে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্নে নির্ভরযোগ্য মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশ যাদব সহ অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই চলতে চায়। সেই প্রেক্ষিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশ জুড়ে সলতে পাকানোর কাজটি শুরু করেছেন নিজের মতো করে। কংগ্রেস বিজেপির বি-টিম হিসেবে কাজ করছে। বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে তাদের অশুভ আঁতাঁত প্রকাশ্যে এসেছে সাগরদিঘির নির্বাচনে। তাই কোনওমতেই কংগ্রেসের সঙ্গে পথ চলতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই একলা চলার কথা বলেছেন নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমুল কংগ্রেস। তারই মহড়া এই বৈঠকগুলি।