বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা-বাগানের শ্রমিকদের ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখেন। তাঁর নির্দেশেই এ বছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চা-বাগানের বোনাস নির্ধারণ হয়েছে একটিমাত্র বৈঠকে। ফলে পুজোর বেশ কিছুদিন বাকি থাকতেই বিভিন্ন বাগানে শ্রমিকেরা বোনাসের টাকা হাতে পেয়ে গিয়েছেন। সেই টাকায় পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে পড়েছেন চা-শ্রমিক পরিবারগুলো। এমন ছবি দেখা গেল ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা-বাগান লাগোয়া বাজারে। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মাঝেরডাবরি চা-বাগানের শ্রমিক বুধুয়া ওঁরাও বোনাসের টাকা হাতে পেয়েই পরিবার নিয়ে আলিপুরদুয়ার জংশন রেলবাজারে কেনাকাটা সেরেছেন। নিজের জন্য জিন্সের প্যান্ট, স্ত্রীকে দিয়েছেন শাড়ি আর বাচ্চাদের জন্য নিয়েছেন ফ্যান্সি পোশাক। তার পরেও যে টাকা বেঁচেছে, তা দিয়ে সংসারের টুকিটাকি কিছু জিনিসও কিনেছেন। বাকি টাকা পুজোয় ঘোরার জন্য রেখে দিয়েছেন। শুধু বুধুয়া নন আলিপুরদুয়ারের শামুকতলাহাটে পুজোর কেনাকাটা করতে ভিড় জমিয়েছেন কোহিনুর, জয়ন্তী, ফাসখোয়া চা-বাগানের শ্রমিকেরা। তাই শামুকলাহাটের কাপড় এবং জুতোহাটিতে রীতিমতো কেনাকাটার ধুম পড়ে গিয়েছে। খদ্দেরদের ভীড় সামলাতে দোকানদাররাও রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন। জয়ন্তী চা-বাগানের এক শ্রমিক জানান, আমাদের বাগানে বৃহস্পতিবার বোনাস হয়েছে। অন্যান্য বছর দেরি করে গিয়ে পছন্দের পোশাক পাইনি, তাই টাকা পেয়েই হাটে এসেছি পোশাক কিনতে।
আরও পড়ুন : উদয়নের বিরুদ্ধে প্রার্থী, খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি
শামুকতলাহাটের কাপড় ব্যবসায়ী সমর পাল জানান, আমাদের পুজোর ব্যবসা চা বাগানের খদ্দেরদের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। গত বছর করোনার কারণে ব্যবসা খারাপ হয়েছিল। বাগানে সময়মতো বোনাস হওয়ায় আজকের হাটে ভালো ব্যবসা করতে পারলাম।
শামুকতলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মানিক দে জানান, শামুকতলা হাটের বেচাকেনা চা-বাগানের উপর নির্ভরশীল। তাই ব্যবসায়ীরা পুজার বেচাকেনার জন্য চা-বাগানের বোনাসের দিকে তাকিয়ে থাকেন। গতবারের ক্ষতি এ বছরের ব্যবসায় পুষিয়ে যাওয়ার আশায় সব ব্যবসায়ীরা। তাঁরাও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আগাম বোনাসের ব্যবস্থা করায়।