প্রতিবেদন : কেরল হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন রাজ্যের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জন সেনেট সদস্যকে মনোনীত করেছিল কেরলের এলডিএফ সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল ওই সেনেট সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরল হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ওই ১৫ জন সেনেট সদস্য। দীর্ঘ শুনানির পর রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকারে রাজ্যে ২ লাখের বেশি শিবির
হাইকোর্টের বিচারপতি সতীশ নইনানের এজলাসে সেনেট সদস্যদের আবেদনটির শুনানি হয়। এই মামলায় বিচারপতি মেনে নেন যে, রাজ্যপাল আরিফ বেআইনিভাবে সেনেট সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করেছেন। রাজ্যপালের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সেনেটের নির্বাচিত ওই সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছেন। তিনি চ্যান্সেলর হলেও তাঁর কোনও কথাই তাঁরা শুনছেন না। অন্যদিকে রাজ্য সরকার আদালতকে জানায়, সেনেটের সদস্যরা রাজ্যপাল কর্তক মনোনীত হলেও তাঁরা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। তাই রাজ্যপালের ওই বক্তব্য আদালতে ধোপে টেকেনি। সে কারণেই এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি স্পষ্ট বলেছেন, রাজ্যপালের ওই নির্দেশ ছিল অবৈধ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরে সেনেটের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। ওই বৈঠকে সেনেটের যে সমস্ত সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল তাঁদের সকলকেই সরিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই তাঁরা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশে নিশ্চিতভাবেই বড় মাপের ধাক্কা খেলেন রাজ্যপাল। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপালরা মূলত নরেন্দ্র মোদি সরকারের নির্দেশেই রাজ্য সরকারগুলিকে হেনস্তা করে চলেছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে অযথা নাক গলিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছেন।