প্রতিবেদন : রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রথম বাংলা সফরে এসে দুই মহামানবের বসতগৃহে হৃদয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার দুপুরে মহানগরীতে পা রেখেই রেসকোর্স থেকে তিনি সড়কপথে সোজা পৌঁছে যান এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবনে। সঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-আইপিএলে আসছি আমি, স্মিথের ঘোষণায় চাঞ্চল্য
নেতাজি ভবনে কিছুক্ষণ কাটিয়ে পৌঁছে যান রবীন্দ্রনাথের জন্মভিটে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে— নিভৃত প্রাণের দেবতা, যেখানে জাগে একা। দুই পুণ্যভূমিতেই স্পষ্টতই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তিনি। নেতাজি ভবনে নেতাজির ব্যবহৃত এবং স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন জিনিস মন দিয়ে লক্ষ্য করেন রাষ্ট্রপতি। জানতে চান খুঁটিয়ে। নানা মুহূর্তের ছবি দেখে কৌতূহল মেটান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নেতাজির সেই ঐতিহাসিক গাড়িটি দেখে। নেতাজির পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি বইও উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির হাতে। পরের গন্তব্য জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলের হার
মহর্ষি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্বাগত জানান ৩ মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা এবং বীরবাহা হাঁসদা। রাষ্ট্রপতি প্রথমে যান রবীন্দ্রনাথের জন্মকক্ষে। এরপরে প্রয়াণকক্ষে। বিচিত্রায় বিশ্বকবির ব্যবহার করা আসবাবপত্র দেখে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি। উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তীর কাছে জানতে চান ঠাকুরবাড়ির ইতিকথা। রক্ষণাবেক্ষণের কথা। কবিগুরুর ছবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়-প্রকাশিত বই উপহার দেওয়া হয় তাঁকে। আপ্লুত রাষ্ট্রপতি ভিজিটার্স বুকে প্রকাশ করলেন তাঁর অনুভূতি, এই জায়গা আমাকে মুগ্ধ করেছে।