প্রতিবেদন : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নাগরিক সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির ‘আমন্ত্রণ রাজনীতি’র বিরুদ্ধে পাল্টা নথি প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস (Draupadi Murmu- TMC) তাদের মিথ্যাচার প্রমাণ করে দিল। একইসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি যে বিভিন্ন বিষয়ে ক্রমাগত মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু নোংরা রাজনীতির পাঁকে নেমে তা বেমালুম অস্বীকার করে বিজেপি। সরকারি মেসেঞ্জার মারফত পাঠানো আমন্ত্রণের নথি ও তার রিসিভ কপি প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই মিথ্যাচারের হাঁড়ি হাটে ভেঙে দিল।
আরও পড়ুন- আইআইটির আত্মঘাতী ছাত্রের সুইসাইড নোটে সহপাঠীর নাম
তৃণমূলের (Draupadi Murmu- TMC) প্রকাশ করা নথিতে দেখা যাচ্ছে, সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষকে মেসেঞ্জার বিজয় চক্রবর্তী মারফত বিজেপি দফতরে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। আমন্ত্রণের প্রাপ্তিস্বীকারও করা হয় বিজেপি দফতরের অফিস সেক্রেটারির স্টাম্প সহ। একইসঙ্গে আমন্ত্রণপত্র যায় রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে। এক্ষেত্রেও আমন্ত্রণপত্র ‘রিসিভ’ করা হয়েছে। এরপর কোন আক্কেলে বিজেপি বলে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নাগরিক সংবর্ধনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং বীরবাহা হাঁসদা বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। রাজ্য সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সেটা প্রমাণিত। এদের রাজ্য সভাপতি এক কথা বলছেন আবার বিরোধী দলনেতা দিল্লিতে বসে আর এক কথা বলছেন। রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা জানাতে হলে দিল্লিতে গিয়ে প্রেস কংফারেন্স করতেন না, কলকাতাতেই থাকতেন। মন্ত্রীর সংযোজন, বিজেপি আসলে মহিলাদের সম্মান জানাতে জানে না। এটা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, বিরোধী দলনেতা আমাকে অপমান করেছিলেন। আজ পর্যন্ত ক্ষমা চাননি। তাহলে বুঝে দেখুন ওরা কতোটা সম্মান দেন মহিলা ও আদিবাসীদের। এদিন প্রথমে সংবাদমাধ্যমের সামনে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে। পরে দল নথি প্রকাশ করে দেওয়ায় বিজেপির মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাওয়ায় দিনভর মুখ লুকোতেই ব্যস্ত ছিল।