নয়াদিল্লি : দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও বাংলার প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে বুধবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনা প্রদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দিল্লিতে তখন সংসদে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে ধরনা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা (TMC MPs)। সোমবার তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে দলীয় সমস্ত সংসদদের জানিয়েছেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা শুরু হওয়ার আগেই সংসদ ভবন চত্বরে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ধরনায় বসবেন তৃণমূলের দুই কক্ষের সাংসদরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের ওপর কুৎসিত আক্রমণ বলে মনে করছে বিরোধীরা। তাদের সঙ্গে সহমত তৃণমূলও (TMC MPs)। আর সেই কারণেই গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে দিল্লি এবং কলকাতায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোড়াফুল শিবির। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে মতভেদ ভুলে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বাংলার শাসক দল। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই ইস্যুতে বিশেষত দেশের গণতন্ত্র, সংসদীয় রাজনীতির মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা সবার সঙ্গে রয়েছি। পাশাপাশি দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, বিজেপি এমন একটা সময়ে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যখন সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হল গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে, সংসদকে রক্ষা করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন-সর্বগ্রাসী আধিপত্যবাদ গিলতে চাইছে গণতন্ত্রকে
এদিকে গত শুক্রবার রাহুল গান্ধীর সাংসদ পথ খারিজ করে দেওয়ার পর সোমবার রাহুল গান্ধীকে তাঁর বাংলো ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে লোকসভার হাউজিং কমিটি। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই বাংলো ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ নম্বর তুঘলক রোডের বাসভবনটি ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন রাহুল গান্ধীর জন্য বরাদ্দ ছিল। সাংসদ পদ খারিজের দু’দিনের মধ্যে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় যেভাবে উচ্ছেদের নোটিশ এল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।