আমেদাবাদ, ৩১ মার্চ : শুরুতে ঝড় তুলে দিয়ে গেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি ফিরে যাওয়ার পর ঠিক সেই কাজটাই করলেন শুভমন গিল। তারপর ছোট্ট ক্যামিও রশিদ খান ও রাহুল তেওটিয়ার। মোতেরায় একলাখ লোককে খুশি করার জন্য এসবই ছিল যথেষ্ট। ফলে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল চেন্নাই সুপার কিংসকে।
আরও পড়ুন-ভিডিও ফাঁস, গেরুয়া বাহিনীর হাতে রিভলভার ও তরোয়াল
৩৬ বলে ৬৩ রান করে শুভমন গিল যখন ফিরে গেলেন, গুজরাট টাইটান্স চাপে পড়েছিল। বোর্ডে রান ১৫ ওভারে ১৩৮/৪। এতক্ষণ ম্যাচটা তাদের হাতে ছিল। শুভমনের জন্যই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান করে আইপিএলে এসেছেন পাঞ্জাব ওপেনার। তিনি দলের ভিত তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন।
তবে আর একজনের কথা বলতে হয়। রাহুল দ্রাবিড়ের জমানায় মুছে যাওয়া মুখ ঋদ্ধিমান সাহা। গোটা দুনিয়া মুখ ফিরিয়ে নিলেও হার্দিকরা বঙ্গ কিপার-ব্যাটারের উপর ভরসা রেখেছেন। ঋদ্ধিমান ১৬ বলে জোড়া ছক্কা ও বাউন্ডারিতে ২৫ রান করে গুজরাট টাইটান্সের মোমেন্টাম তৈরি করে দিয়ে গেলেন। এরপর সাই সুদর্শন (২২) শুভমনের সঙ্গে ৫৩ রান জুড়ে দিয়ে গিয়েছেন। এগুলোই হার্দিকদের জয়ের পথ সুপ্রশস্ত করেছে।
এর আগে ৫০ বলে ৯২ রান করে সিএসকেকে ১৭৮-এ নিয়ে গিয়েছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু মোতেরা পাগল হল শেষদিকে এম এস ধোনিকে দেখে। ৭ বলে ১৪ নট আউট প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এরমধ্যে লিটলকে মারা ছক্কাও রয়েছে। দেখে কমেন্ট্রি বক্স থেকে সঞ্জয় মঞ্জেরেকর বলে উঠলেন, দ্য কিং ইজ ব্যাক।
আরও পড়ুন-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই অনুমতি ছাড়া প্ররোচনার মিছিল
হার্দিক পান্ডিয়া প্রত্যাশিতভাবেই টসে জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে দিলেন। আসলে ছোট ফরম্যাটে বিপক্ষের রান দেখে সেইমতো ব্যাটিংয়ে গিয়ার বদল করার ব্যাপার থাকে। কিন্তু শুরুতেই কনওয়েকে (১) হারিয়ে বসেছিল সিএসকে। কিন্তু চাপটা বাড়তে দেননি ঋতুরাজ। চারটি বাউন্ডারি ও ন’টি ছক্কায় উড়িয়ে দেন গুজরাট বোলিংকে।
কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে ঋতুরাজ যখন এই তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তখন উল্টোদিকে মইন আলি (২৩) ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। স্টোকস করলেন ৭ রান। শামি ও রশিদ ২৯ ও ২৬ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু লিটল, দয়াল ও আলজারি জোসেফ প্রচুর ঠ্যাঙানি খেয়েছেন। তবু শেষ হাসি তাঁদেরই।