সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : অফিসিয়াল মেল থেকে ভিবিউফা সংগঠন সদস্যদের বিশ্রী গালিগালাজ করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সংগঠনের অধ্যাপকদের ‘স্কাউন্ড্রেল’ বলে গালাগাল দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি। অধ্যাপকদের বাবা-মায়েদের উদ্দেশ্যেও বলেন, ‘পাজি হওয়ার গুণ যাঁরা জন্মসূত্রে বা পারিবারিক সংস্কারবশত তাঁদের জঘন্য সন্তানদের মধ্যে সঞ্চারিত করেছেন, তাঁরাও দোষী।’ পরোক্ষে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকেও স্বার্থপর বলতে ছাড়েননি ওই মেলে।
আরও পড়ুন-সে প্রথম প্রেম আমার
অধ্যাপকদের কার্যত হুমকি দিয়ে তাঁর কটূক্তি, ‘এই পাজিরা মানুষ নন, এঁরা বিশ্বভারতীর স্বঘোষিত অভিভাবক। এঁরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখেন। এঁরা হলেন ইঁদুর। এঁদের সত্বর শিকার করা হবে। এঁরা কাজ না করলে বা কর্তব্যে অবহেলা করলে বা কোনও ত্রুটি পাওয়া গেলে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে বিশ্বভারতীর আইনে শাস্তি পাবেন। ন্যাক ও এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং নির্ভর করে অ্যাকাদেমিক কাজের উপর। তাই ওঁদের বলব এগুলোর দিকে বেশি নজর দিন। আড়ালে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-বিরোধী কাজ বন্ধ করুন। আদালতকে বিশ্বভারতী সবসময় সম্মান করে। কিন্তু এই অধ্যাপকরা এই আইনকে মানেন না। শোকজকে অসম্মান করেন। এঁরা জেনে রাখুন, বিশ্বভারতী স্বার্থত্যাগ করবে না স্বার্থপর ব্যক্তিদের জন্য। আইন মেনেই বিশ্বভারতীর জমি ফেরত দিতে হবে। যতই বিশ্ববিখ্যাত কেউ হন না কেন, জমি তাঁকে ফেরত দিতে হবে।’ এভাবেই অমর্ত্য সেনকেও পক্ষান্তরে স্বার্থপর বলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-মন-ভাল-করা এক সম্প্রীতির সুর বই জুড়ে
তিনি আরও বলেন, ‘এঁদের সাহস নেই মুখোমুখি হওয়ার। যদি সেটা পারেন বাবা-মায়েদের গর্বিত করবেন। না হলে ওঁদের হতভাগ্য বাবা-মায়েরা লজ্জায় মুখ লুকোবার জায়গা পাবেন না এমন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য, যাঁরা এত দুর্বল যে মানুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারছেন না।’