রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রধান বিরোধী মুখ। তবে প্রশাসনিক কাজ ও রাজনীতির বাইরে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার কয়েকটি দিন তিনিও উৎসব মুখর হয়ে ওঠেন।
আজ মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। প্রতি বছরের মতো এবারও এই দিন থেকেই উৎসবের সূচনায় নেমে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শহরের নামি ৬টি পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রতিটি পুজোই দক্ষিণ কলকাতার।
তবে তার আগে বিকেল ৩টে সময় থেকে শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম কর্মসূচি। নজরুল মঞ্চে দলীয় মুখপত্র “জাগো বাংলা”র শারদ সংখ্যার প্রকাশ হবে তাঁর হাত দিয়ে। প্রতি বছর মহালয়ার দিন এই অনুষ্ঠান দিয়ে পুজোর কর্মসূচি শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়াও থাকবেন লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা। যাঁদের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে “জাগো বাংলা” বিশেষ পুজো সংখ্যা। ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে নজরুল মঞ্চে।
এরপর এদিন মোট ৬টি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৪টের সময় নাকতলা উদয়ন সংঘ, ৪.৩০টের সময় সেলিমপুর পল্লি, ৫টায় বাবুবাগান, ৫.৩০টার সময় যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লি, ৬টায় যোধপুর পার্ক, এবং সবশেষে ৬.৩০ মিনিটে চেতলা অগ্রণী। প্রতি বছরের মতো এবারও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুজো চেতলা অগ্রণীতে দেবী মূর্তির “চক্ষুদান” করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখানেই শেষ নয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে একে একে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রীন, শিমলা ব্যায়াম সমিতি, কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু করে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, উল্টোডাঙ্গার তেলেঙ্গাবাগান সহ বিভিন্ন পুজো উদ্বোধনের লম্বা তালিকা তৈরি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।