প্রতিবেদন : কিছুদিন আগেই একটি আলোচনাসভায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন বিচারপতিকে ভারত বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য বলে মন্তব্য করেছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। আইনমন্ত্রীর এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়টি সংসদেও ওঠে। বৃহস্পতিবার এক লিখিত প্রশ্নে রিজিজুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি ভারত বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কার্যকলাপের বিষয়টি কি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন? কিন্তু রিজিজু ওই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি।
আরও পড়ুন-বিহারে তৃতীয় লিঙ্গকে পৃথক জাতির স্বীকৃতি নিয়ে বিতর্ক
আইনমন্ত্রী নিজে এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ তোলার পরেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, রিজিজু যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সম্পর্কে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন আইনমন্ত্রীর নীরব থাকা তারই প্রমাণ। এ ধরনের গুরুতর অভিযোগের সাপেক্ষে তাঁর হাতে যদি কোনও প্রমাণ থাকত তবে তিনি নিশ্চিতভাবে সেটা দেশের প্রধান বিচারপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাতেন। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই আইন বিভাগকে কবজা করতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদি সরকার। সে কারণেই বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে রীতিমতো সংঘাতের সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে পারেনি সরকার। যে কারণে প্রতিহিংসাপরায়ণতার নজির সৃষ্টি করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সম্পর্কে এ ধরনের লজ্জাজনক মন্তব্য করেছেন রিজিজু।