প্রতিবেদন : সোমবারের বৈঠক থেকে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকা অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। একদিকে নিবিড় জনসংযোগ। অন্যদিকে সাংগঠনিক ঐক্যকে পাখির চোখ করার নির্দেশ। তিনটি ক্যালেন্ডার তৈরি করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)—
১. ১২ এপ্রিলের মধ্যে সব ক’টি জেলা কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ।
২. ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ব্লক কমিটির তালিকা প্রকাশ।
৩. ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি অঞ্চল কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
শীর্ষ নেতৃত্বের স্পষ্ট নির্দেশ, স্বজনপোষণ সহ্য করবে না দল। রাজ্যের কাছে কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনে কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে নতুন মুখ দেওয়া হবে। কমিটির তালিকা যদি সর্বসম্মত হয় তাহলে সেই এলাকার নেতৃত্ব তাঁদের স্তরেই কমিটি ঘোষণা করতে পারবেন। একটি কপি পাঠিয়ে দেবেন রাজ্য নেতৃত্বকে।
আরও পড়ুন-হিন্দু না মুসলমান, কোরো না জিজ্ঞেস, সাম্প্রদায়িকতাকে করো নিকেশ
দলকে ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ নেতৃত্বের। আত্মসমালোচনার জায়গা থেকে অভিষেক এদিন বলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি করতে গিয়ে দল দেখতে পেয়েছে, ব্লক সভাপতি আর অঞ্চল সভাপতির মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বিরোধ মেটাতে হবে নইলে, নেতৃত্বের পরিবর্তন।
দিদির দূত এবং সুরক্ষা কবচ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কিছু কিছু বিধায়ক মনে করছেন, এলাকা তাঁর। অন্য কেউ সেখানে আসবে কেন! নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা, এই ধরনের মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না। কর্মসূচি রাজ্যের। কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের। তা সফল করতে সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, যিনি যাচ্ছেন তিনি তৃণমূলের কথাই বলছেন।
যেখানে ডোর-টু-ডোর কর্মসূচি চলছে, সেক্ষেত্রেও দলীয় কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠক থেকে। কর্মসূচির পুরোটাই জানাতে হবে ব্লক সভাপতিকে। কোন টিম কোথায় যাচ্ছে তাঁকে জানতে হবে। প্রয়োজনে টিমগুলির জলপানের দায়িত্ব নিতে হবে। কোনও এলাকার মানুষ কী বলছেন ব্লক সভাপতিকে তারও খবর রাখতে হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করবেন সকলে— এই বিশ্বাস দলীয় নেতৃত্বের আছে।