প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোট (Abhishek Banerjee- Panchayat Election) হবে অবাধ ও গণতান্ত্রিক। কোনও অবস্থায় গা-জোয়ারি চলবে না। কোনও একজন প্রার্থী নিজে জিততে দলকে বলপ্রয়োগ করবেন এবং দলকে ডোবাবেন, এমন ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। সোমবার দলের জেলা সভাপতি, সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রী- বুথ সভাপতি-অঞ্চল সভাপতি-সহ সর্বস্তরের সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee- Panchayat Election)। এদিন দুপুর তিনটে থেকে বৈঠক শুরু হয়। রাজ্যের সব জেলা থেকেই ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন সকলে। বৈঠক পরিচালনা করেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, দলের সর্বস্তরে ঐক্য বজায় রেখেই পঞ্চায়েতে ঝাঁপাবে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে অভিষেক এদিন বলেন, ২০১৮ এবং ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন এক নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা ঘটেছিল তার খেসারত দিতে হয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। তৃণমূল ১৮টি আসন হারিয়েছিল। ২০১৮-র পুনরাবৃত্তি এবার হতে দেওয়া যাবে না। বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বারেবারেই বিরূপ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। অভিষেকের এবার তাই কড়া নির্দেশ, বিরোধীদের বলপূর্বক প্রার্থী হতে না দেওয়া বন্ধ করতে হবে। দলের কাছে যদি কোনও জায়গা থেকে এই ধরনের বলপ্রয়োগের রিপোর্ট আসে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্ব সেই এলাকায় গিয়ে নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে বিরোধীদের মনোনয়ন করাবেন। অভিষেকের স্পষ্ট কথা, সাংসদ- বিধায়করা যেভাবে অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে দিয়ে জিতে আসেন সেভাবেই দলের পঞ্চায়েতের প্রার্থীকেও জিতে আসতে হবে। মানুষের পছন্দের প্রার্থীই হবেন তৃণমূলের প্রার্থী। বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। মানুষের মতামত জানুন। নিজের লোক বলে কোনও অযোগ্যের নাম সুপারিশ করবেন না।