বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে নাম না করে তাকে নিশানা করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। শুক্রবার ডঃ বি আর আম্বেদকরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বিধানসভায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রের কাজ আলাদা আলাদা। ত্রুটিবিচ্যুতি হলে নিশ্চয়ই আদালত দেখবে। কিন্তু আদালত যেন নিজেকে সুপ্রিম না মনে করে। তাঁর কথায়, “আজকে আদালত বলছে ওমুককে ডেকে পাঠানো উচিত। কালকে বলতে পারে বিধানসভার অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো উচিত। বলতেই পারে। কিন্তু তা বাঞ্ছনীয় হবে না।”
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই ঘটনায় দরকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিধানসভার স্পিকারের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, “হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত ক্ষমতা রয়েছে। তারা সেই ক্ষমতার অনুশীলনও করতে পারে। কিন্তু দেখতে হবে মানুষের কাছে যাতে ভুল বার্তা না যায়। মানুষের যাতে মনে না হয় আদালত একটা পক্ষ নিয়ে চলছে।” কোনো বিচারপতির নাম না করেই এরপর তিনি বলেন, “আজকে আদালত বলছে ওমুককে ডেকে পাঠানো উচিত। কালকে বলতে পারে বিধানসভার অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো উচিত। বলতেই পারে। কিন্তু তা বাঞ্ছনীয় হবে না।” বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন—প্রত্যেকের কাজের ক্ষেত্র আলাদা। কিন্তু সংবাদপত্র খুললেই আজকাল আদালতের হস্তক্ষেপ চলছে। ফলে প্রশাসন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। “আদালত যদি নিজেকে সুপ্রিম মনে করে তাহলে তা গণতন্ত্রের জন্য ভাল হবে না।”- মত অধ্যক্ষের। তবে, তাঁর যে আদালতের উপর আস্থা রয়েছে তা জানিয়েছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এখনও মানুষের শেষ ভরসার স্থল আদালতই—এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন প্রসঙ্গে কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী?