নয়াদিল্লি : আর্থিকভাবে বঞ্চিত রূপান্তরকামীদের সাহায্যে তৈরি কেন্দ্রীয় সরকারের স্মাইল প্রকল্পই (SMILE Scheme) এখন হাসি কেড়েছে তাঁদের। সামাজিক সুরক্ষা, আশ্রয়, স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার রূপান্তরকামীদের জন্য এই প্রকল্প চালু করে। বিগত চার মাস এই প্রকল্পের আওতায় কোনও টাকা না আসায় প্রকল্প কার্যত বন্ধ। অথৈ জলে পড়েছেন রূপান্তরকামীরা।
আরও পড়ুন- ডেথ ওভারে সাফল্যের রহস্য ব্র্যাভোর টিপস, বলছেন ধোনি
স্মাইল প্রকল্পে (SMILE Scheme) ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত খাতায় কলমে ৩৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা কেন্দ্রের। এর মধ্যে রূপান্তরকামী পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি, দক্ষতা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ, চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধার কথা বলা হয়। ‘গরিমা গৃহের’ মাধ্যমে তাঁদের আশ্রয় এবং সুরক্ষার উল্লেখও রয়েছে। যদিও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। সারা দেশে ১২টি গরিমা গৃহের আবাসকিদেরই বেহাল দশা। বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। রূপান্তরকামীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট লোকসভায় এবং ২৬ নভেম্বর রাজ্যসভায় পাস হয় রূপান্তরকামী সুরক্ষা বিল। ৫ ডিসেম্বর বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হয়। এই আইন অনুযায়ী, সমস্ত রাজ্যে রূপান্তরকামী কল্যাণ বোর্ড তৈরির কথা ছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত রাজধানী দিল্লিতেই এই বোর্ড তৈরি হয়নি। মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানের সংস্থান করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ এই প্রকল্প শুরুর সময় বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচার করা হয়েছিল।
বর্তমানে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন দেশের হাজার হাজার রূপান্তরকামী মানুষ।