সংবাদদাতা, কাটোয়া : দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এবার স্থায়ী শিবিরের পাশাপাশি প্রায় সব এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শিবিরও হয়েছে প্রচুর। এরকম ভ্রাম্যমাণ শিবির হাজির হয় কালনার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলার যৌনপল্লিতে। সেখান থেকে ওই পল্লির বাসিন্দাদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়। সেগুলি জানার পর বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জানান যৌনকর্মীরা। ওই ভ্রাম্যমাণ শিবিরে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শুক্লা দাস গঙ্গোপাধ্যায়, কালনার উপ পুরপ্রধান তপন পোড়েল, কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী প্রমুখ। শিবির থেকে কয়েকজন যৌনকর্মীর হাতে জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-বিজেপি শুধু ইডি-সিবিআইয়ে আছে, পাথরপ্রতিমায় পরিবহণমন্ত্রী
কয়েকজন যৌনকর্মী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পেতে আবেদন করেন। শুধু যৌনপল্লিই নয়, দুয়ারে সরকারের ভ্রাম্যমাণ শিবির বসেছিল কালনার উপ-সংশোধনাগারেও। সেখানে আছেন ৭৫ জন বন্দি। তাঁদের প্রত্যেককে আলাদা করে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড রয়েছে কিনা, সরকারি সুযোগ-সুবিধে ঠিকঠাক তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন পাচ্ছেন কিনা বিস্তারিত জেনে নেন সরকারি আধিকারিক ও কর্মীরা। কালনার মহকুমা শাসক বলেন, ‘সমস্যাগুলি লিখে নেওয়া হয়েছে। যাচাই করে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন সমস্যাগুলি মেটাবে।’
আরও পড়ুন-মারাদোনার মৃত্যুরহস্য, আটজনকে জেরা
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গোটা জেলায় ৩৩টি সরকারি প্রকল্পে মোট ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৯৬টি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৩৬,২৩৬টি, স্বাস্থ্যসাথীতে ১৬,৪৫৬টি, খাদ্যসাথীতে ৮,৪৪৭টি এবং কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ৫,৮৭৯টি আবেদন জমা পড়ে। এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৮৬টি আবেদন অনুমোদিত এবং তার ভিত্তিতে সুবিধা প্রদানও শুরু হয়েছে।