সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : জমিবিতর্কে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ট্যুইটে আক্রমণ করলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar- Visva Bharati)। লিখলেন, ‘লোকটি নির্লজ্জ। অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের সম্পত্তির বিতর্কের মধ্যের উনি ঢুকছেন কেন? এই সম্পত্তির মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। উপাচার্য হিসেবে নিজের ব্যর্থতা থেকে মনোযোগ সরানোর জন্যই এসব করছেন। লজ্জা লাগে। চিনি ওঁকে। একেবারে নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছেন। প্রথমে ভেবেছিলাম খেপে গিয়েছেন। তারপরে দেখলাম, খ্যাপা নয়, পিছনে মতলব আছে। নিজের এক্সটেনশন নেওয়ার।’ জহরের অভিযোগ, অমর্ত্য সেনের পৈতৃক সম্পত্তির তেরো ডেসিমেল জায়গা ফেরত নেওয়ার জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প বর্তমান উপাচার্য। নরেন্দ্র মোদি বাংলায় একুশ সালে পর্যুদস্ত হয়েছেন। তিনি তাঁর হিন্দুত্ববাদী প্রভুকে সন্তষ্ট করে নিজের কার্যকালের সময়সীমা বর্ধিত করতে চাইছেন। উপাচার্যকে টাইটবাবু বলে কটাক্ষ করে জহরের (Jawhar Sircar- Visva Bharati) মন্তব্য, ‘‘মিলিটারি প্রশাসন জারি করেছেন বিশ্বভারতীতে। এর আগে কখনও হয়নি। কত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করেছেন বিশ্বভারতীর। কেস করে সবাইকে টাইট দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি টাইটবাবু হয়ে গিয়েছেন। ওঁর আমলে সব দিক দিয়ে বিশ্বভারতীর অবনমন ঘটেছে।’’ এ ব্যাপারে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অফিস থেকে বলা হয়, উনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এই ঘটনার জেরে গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ ও ভারতীয় গণনাট্যে সংঘের তরফেও রাজা সেন, পবিত্র সরকাররা অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যের কার্যকলাপের নিন্দা করেছেন। তাঁরা বহু বিশিষ্টের স্বাক্ষর করা এক স্মারকলিপিও পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নবান্নে DA বৈঠকে মিলল না সমাধান সূত্র