প্রতিবেদন : বাংলার মানুষ তাঁদের হকের টাকা পাচ্ছেন না। আর দিল্লিতে বসে নাটক করছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Minister Giriraj Singh)। সপ্তাহ দুয়েক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল তাঁর কাছে গিয়েছিল। দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক। দিল্লিতে থেকেও সেদিন নাটক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Minister Giriraj Singh) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি। চিঠি দিয়ে আসা হয়েছিল সচিবকে। অবশেষে সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করলেন মন্ত্রী। এবং আশ্চর্যজনকভাবে তিনি লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখলেন, চিঠি পেয়েছি এবং তা যথাস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কোথায়? মিথ্যাচারের নাটকে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্যুইট করে কেন্দ্রের নোংরা রাজনীতিকে একহাত নিয়েছেন। বলেছেন, নতুন ইতিহাস তৈরি করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গিরিরাজ সিং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি চিঠি ফরওয়ার্ড করছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককেই! হাস্যস্পদ, মিথ্যাচারের নতুন নাটক দেখছে ভারতবর্ষ। গরিব মানুষের দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। জবাব তাদের দিতেই হবে। ১০০ দিনের কাজে বাংলার বকেয়া যাতে কেন্দ্রীয় সরকার না মেটায় সেজন্য ধারাবাহিকভাবে ‘রাজনীতি’ করে যাচ্ছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। তাঁদের চাপেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে সময় দিয়েও দেখা করেননি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর দেওয়া তারিখে তাঁর দফতরে গিয়েও দেখা পাননি। মিথ্যা অজুহাতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেলেছেন গিরিরাজ সিং। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিথ্যা অজুহাতে বাংলার গরিব মানুষকে ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের লাগাতার চাপের মুখে এবার প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠি দিতে বাধ্য হলেন গিরিরাজ সিং। এবিষয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দাবি অতি দ্রুত বৈঠক ডেকে বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করা বন্ধ করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-যারা ভেদাভেদ চায়, তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ লড়াই গড়ে তুলতে হবে: ইদে বার্তা অভিষেকের