প্রতিবেদন : অসমের হোজাই জেলার একটি পুনর্বাসন শিবিরের চরম অমানবিক অবস্থার জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। ২০২১ সালের নভেম্বরে সরকারি উচ্ছেদ অভিযানে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ৩৫০টি পরিবার বাস করছে এই পুনর্বাসন শিবিরে। গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সন্দীপ মেহতা রাজ্য সরকারের আইনজীবী ডি নাথকে বলেছেন, অমানবিকতার চরম প্রকাশ দেখা গিয়েছে ওই পুনর্বাসন শিবিরে। ত্রিপল দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শিবিরে গবাদি পশুর মতো মানুষকে আর কতদিন রাখবেন? আপনার নিজের সন্তানের কথা ভাবুন। একটি ত্রিপলের নিচে দুই বছর ধরে বাস করছে মানুষ, আপনি কি এই দুর্দশার কথা কল্পনা করতে পারেন? সিনিয়র অ্যাডভোকেট বি ডি কুঁয়োরের জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি মেহতা এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন-ভূমিধস নিয়ে হেলদোল নেই, চারধাম যাত্রা নিয়েই ব্যস্ত বিজেপি সরকার
হাইকোর্টের নির্দেশে ওই পুনর্বাসন শিবির পরিদর্শন করেছিলেন অ্যাডভোকেট বি ডি কুঁয়োর। একটি অসমীয়া সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ওই পুনর্বাসন শিবির পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হোজাইয়ের ডবকা ক্যাম্পে টয়লেট এবং বাথরুমের মতো মৌলিক মানবিক প্রয়োজনীয়তার অভাব ক্যাম্পের বন্দিদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। পরিস্রুত পানীয় জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আশ্রয় শিবিরে থাকা ৭৩৫টি শিশুর বেশিরভাগেরই সঠিক পোশাক নেই। তারা অপুষ্টিতে ভুগছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
যে কারণে ১৮ মাস থেকে ৬ বছর বয়সি প্রায় ৫০টি শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। আইনজীবী বি ডি কুঁয়োরকে অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত করে আদালত। এর পরই গত বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৫৬ কিলোমিটার দূরে হোজাইয়ের চাংমাজি গ্রামের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন কুঁয়োর।