সুস্মিতা মণ্ডল, বাসন্তী : দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইসমিল এলাকায় হোগল নদীর বাঁধ ধসে প্রায় ২৯টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেল শুক্রবার সকালে। হাজার ফুট নদীবাঁধ জোয়ারের জলে ধসে গিয়েছে। ধসের জেরে ফাটল ধরেছে একটি কংক্রিটের রাস্তায়। এই বাঁধের উপর বাড়ি করে বসবাস করে পঞ্চাশটি পরিবার। কিছু বাড়ি সম্পূর্ণ তলিয়ে গিয়েছে। কিছু বাড়ি যে কোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘর গেরস্থালির সব জিনিসপত্র নদীর জলে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি পাকা বাড়ি। তবে ধস শুরুর মুখে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকজনরা বেরিয়ে পড়ায় হতাহতের কোনও খবর নেই। এলাকাটি কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। ভোর রাত থেকে ভাঙন শুরু হয়। ভাটার সময় নদীর জল কমে যাওয়ার পর ধস নামতে শুরু করে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় ধসের ফলে বাঁধের ওপরে থাকা বাড়িগুলি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ভোট প্রচার দুয়ারেই
বাড়িতে থাকা অনেক জিনিসপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উৎসবের শুরুতে সর্বস্ব নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় এলাকা জুড়ে হা-হুতাশ চলছে। কয়েকশো মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। পরিবারগুলিকে স্থানীয় ত্রাণশিবিরে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ধসের খবর পেয়ে বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। দুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় আইসিডিএস সেন্টারে আপাতত থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবারও দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। পুনরায় বাঁধ মেরামতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন নিয়েও প্রশাসন ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানা গিয়েছে।