প্রতিবেদন : আমেরিকা ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুরোধ মেনে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছিল সুদানের (Sudan fighting) যুযুধান দুই পক্ষ। কিন্তু সংঘর্ষবিরতির নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ফের যুদ্ধে ফিরল উভয় পক্ষ। সে-দেশের সেনা ও আধাসেনার এই লড়াইয়ে নির্বিচারে পড়ল বোমা, চলল গুলি। রাজধানী খার্তুমের পাশাপাশি এবার দারফুরেও ছড়িয়েছে যুদ্ধের রেশ। শনিবার সুদানের আধাসেনার প্রধান জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো বলেছেন, সেনাবাহিনী অস্ত্র সংবরণ না করা পর্যন্ত তাঁরা কোনও আলোচনায় বসবেন না। দাগালোর এই কথায় স্পষ্ট হয়ে গেল, সুদানে আপাতত শান্তি দূরঅস্ত্। যদিও দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাতাহ আল-বুরহান আলোচনা বসার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন- রুশ হামলায় রক্তাক্ত ইউক্রেন মৃত ২৬, জখম বহু
উভয় পক্ষের এই যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ দেশই তাদের নাগরিকদের সুদান (Sudan fighting) থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। ভারত অপারেশন কাবেরীর মাধ্যমে সে-দেশে আটকে থাকা নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে। এরই মধ্যে তুরস্কের একটি উদ্ধারকারী বিমানকে ওয়াদি সিদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় গুলি করে নামায় সুদানের সেনা বা আধাসেনার কোনও এক পক্ষ। এ-ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
সুদান থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সুদানের ওয়াদি সিদনা এয়ার স্ট্রিপ থেকে বায়ুসেনার একটি সি-১৩০ বিমান ১২১ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে জেড্ডায় নিয়ে এসেছে। ওই অভিযানের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনা গিয়েছে যাত্রীদের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই এয়ার স্ট্রিপে কোনও আলো ছিল না। ছিল না জ্বালানি ভরার ব্যবস্থা। গোটা রানওয়ে ছিল বড় বড় গর্তে ভর্তি। নাইট ভিশন চশমার সাহায্যে কোনও রকমে ওই যুদ্ধবিমান অবতরণ করান বায়ুসেনার দক্ষ পাইলটরা। তবে শেষ পর্যন্ত ওই ১২১ জন ভারতীয়কে নিয়ে বিমানটি নিরাপদেই জেড্ডায় ফিরেছে।