সংবাদদাতা, কাটোয়া : কাজ করেও পাননি ১০০ দিনের কাজের টাকা। কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা না পাওয়া উপভোক্তাদের লিখিত আবেদন নেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূল। পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, বুথে বুথে এইসব আবেদন জমা করছেন দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব। মাঠে নেমে পড়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। নিজের বিধানসভা পূর্বস্থলী দক্ষিণের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত ও মধুপুরের বিধায়ক কার্যালয়ে বসে নিজের হাতে দরখাস্ত জমা নিলেন স্বপনবাবু। বললেন, গরিবের ন্যায্য পাওনা দিচ্ছে না কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-কবিতার শরীর জুড়ে আধ্যাত্মিক আলো
মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ১০০ দিনের কাজের হকের টাকা থেকে বঞ্চিতদের কাছ থেকে আবেদন জমা নিচ্ছি যথাস্থানে পাঠানোর জন্য। কীভাবে এই আবেদন জমার কর্মসূচি পালিত হবে তা কিছুদিন আগে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হয়। বৈঠকে স্বপনবাবু ছাড়াও ছিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীরা। স্বপনবাবু জানান, পূর্ব বর্ধমানে ২০২১-২০২৩ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পে মজুরি বাবদ ২৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন-রোহিতকে আজ জয় উপহার দিতে চায় মুম্বই, অধিনায়ক হিসেবে ১০ বছর পূর্ণ
প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি শ্রমিক বঞ্চিত। কালনার দুটি ব্লক ও খণ্ডঘোষ ব্লকে বকেয়া মজুরির পরিমাণ জেলার মধ্যে বেশি। আমরা চাই, কেন্দ্র সরকার অবিলম্বে সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দিক। প্রতিটি অঞ্চল কমিটির মাধ্যমে যাঁদের বকেয়া রয়েছে সেইসব শ্রমিকের কাছ থেকে তিনটি করে দরখাস্ত নেওয়া হচ্ছে। একটি দলের জেলা কমিটির মাধ্যমে রাজ্য কমিটির কাছে যাবে। একটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ও আরেকটি কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে পাঠানো হবে। প্রতিটি আবেদনে বকেয়ার পরিমাণও লেখা থাকছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দরখাস্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বুথে বসে দরখাস্ত জমা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা টাকা পাননি, তাঁদের তালিকা তৈরি করে বাড়িতে গিয়ে আবেদনপত্র নেওয়া হচ্ছে।