প্রতিবেদন : এবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরাসরি প্রাণে মারার হুমকি দিলেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেব। মস্কোর দাবি, বুধবার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যা করার জন্য ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কিয়েভ। একইসঙ্গে বুধবারের ওই ঘটনার পর রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এমনকী, এই ঘটনার পিছনে রুশ সেনার একাংশের অন্তর্ঘাত আছে কিনা, এমন প্রশ্ন উঠেছে। সকলেই জানতে চাইছেন, কীভাবে দু’টি ড্রোন রাশিয়ার আকাশ সীমায় এসে ঢুকল? অনেকেই মনে করছেন, রুশ সেনা ও গোয়েন্দারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ইউক্রেনের দিকে আঙুল তুলেছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপিই পেল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দলের তকমা, কর্নাটকে সমীক্ষা রিপোর্টে জনরায়
বৃহস্পতিবার রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেদভেদেব বলেছেন, রাশিয়ার বুকেও ঢুকে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ৷ এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সঙ্গীরা কেউ পার পাবে না। তাদের খতম করা হবে। আমরা যে কোনও মূল্যে আমাদের মাতৃভূমি ও প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করব। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হামলা মানে রাশিয়ার উপর হামলা। শুধু হুমকি দেওয়াই নয়, বুধবারের ঘটনার পর ইউক্রেনের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। রাতেই ইউক্রেনের খেরসন শহরের একের উপর এক প্রাণঘাতী হামলা চালায় রাশিয়া।
আরও পড়ুন-মধ্যরাতের বর্বরতা পদক ফেরানোর ভাবনা
রেলস্টেশন থেকে শুরু করে সুপারমার্কেট সর্বত্রই আছড়ে পড়েছে রাশিয়ার বোমা ও মিসাইল। পাশাপাশি ২৪টি ড্রোন হামলাও চালিয়েছে রাশিয়া। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি। রাজধানী কিয়েভের উপরেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইউক্রেনের দাবি। রাশিয়ার মিসাইল হামলার সতর্কতায় এয়ার রেইড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহরে।