‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রদর্শন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করল তৃণমূল কংগ্রেস। কী সেই যুক্তি? উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া সরকার এই ছবির প্রদর্শনকে উৎসাহিত করতে মকুব করেছে যাবতীয় কর। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট, বিভাজনের রাজনীতিতে মদত জোগানো এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উসকানি দেওয়া। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে বাংলায় এই ছবি দেখানো বন্ধ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জননেত্রী। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, ‘‘এ রাজ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর চক্রান্ত এবং অপচেষ্টা রুখে দিতেই নেওয়া হয়েছে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।’’ তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন, ফিল্মের থেকেও ফিল্মকে হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবিরের বিভাজনের রাজনীতি প্রতিরোধ করাটাই মূল লক্ষ্য। শশী পাঁজার প্রশ্ন, ‘‘দ্য আনহার্ড গুজরাট স্টোরি যেখানে তুলে ধরেছে ৫ বছরে প্রায় ৪০ হাজার মহিলার নিখোঁজ হওয়ার কাহিনি, তা নিয়ে নীরব কেন বিজেপি নেতৃত্ব? কেন দেখাতে দেওয়া হল না বিবিসির তথ্যচিত্র?’’ আসলে গুজরাতের রাজনীতি এরাজ্যে কোনওদিনই সফল হবে না, এই মন্তব্য পার্থ ভৌমিকের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর নিয়ে আরও একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলেছেন শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক। জানতে চেয়েছেন, কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জোড়াসাঁকোয় এলেও তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’র প্রেক্ষাপট মণিপুরে কেন গেলেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? বাংলার ন্যায্য প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার জন্যও অমিত শাহর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল কংগ্রেস।