প্রতিবেদন : হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে চলেছেন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। নিয়োগে অনিয়মের প্রশ্নে শুক্রবার তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি চলে যাবে, আর পর্ষদ চুপ করে বসে থাকবে— তা হয় না।
আরও পড়ুন-টানা তিনবার সেরা বাঙ্গুর
সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছিল ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের। তাঁদের অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়েছে। প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কোথাও কোনও অনিয়মের প্রশ্নই নেই। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, আমরাও ন্যায় বিচার চাই। যোগ্যরা চাকরি করুক। কিন্তু দেখতে হবে অকারণে কেউ যাতে বলি না হন।
লক্ষণীয়, ২০১৪তে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি হয়েছিল। আদালতের বক্তব্য, তাঁরা কেউই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই তাঁদের চাকরি বাতিল করা হল।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাকি ৬৫০০ জনের চাকরি কিন্তু বহাল থাকছে। তবে এই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি এখনই চলে যাচ্ছে না। আগামী চার মাস তাঁরা কাজ করবেন পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে। বেতনও পাবেন পার্শ্বশিক্ষকের মতোই। আদালতের নির্দেশ, তিন মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে নতুনদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবং সরকার যদি মনে করে তাহলে এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ আদায় করবে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারলে নতুন করে আবেদন করার সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।