আজ নবান্ন (Nabanna) থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, চাকরিহারাদের অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাদের পক্ষে যুক্তি দেন।
আরও পড়ুন-দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড় মঠে গেলেন সস্ত্রীক মরিশাসের রাষ্ট্রপতি
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ নিয়ে বলেন, ‘আমি জীবনে কারও কাছ থেকে কেড়ে নিতে শিখিনি। শিখেছি, পারলে কাউকে কিছু দিতে হয়। যারা ছাত্র-যুবদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে সুবিচার আশা করি না। ডিএ অধিকার নয়, অপশন। তাও আমরা দিয়েছি। ডিএ ম্যান্ডেটরি নয়। এটা অপশন। টাকা থাকলে কাউকে ভালবেসে পুরস্কার দিলাম। কেন্দ্রের চাকরি খুঁজে নিন, বেশি বেতন পাবেন, বেশি ডিএ পাবেন।আলিমুদ্দিন থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। কারণ আমি কাউকে বরখাস্ত করিনি। হরিশ মুখার্জি রোড তো ওয়ান ওয়ে। আমিও একটা নির্দিষ্ট সময় রাস্তাটা ব্যবহার করতে পারি। আমি একদিন হরিশ মুখার্জি রোড থেকে অফিসের একজনকে ডেকে জানতে পারলাম, ৪ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ। কেউ বেরতে পারছে না| আপনি সরকারি চাকরি করেন। সব সুবিধা পান। অফিসের সময়ে আপনারা রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। মানুষ তো পরিষেবা পাচ্ছে না। বিক্ষোভ করতে নিষেধ করছে না, অফিসের সময় বাদ দিয়ে করুন।’
আরও পড়ুন-ISC-ICSE-তে বাংলার পড়ুয়াদের জয়জয়কার, অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন তিনি বলেন, ‘আগে তো শিক্ষকরা ১ তারিখে মাইনেও পেত না। এখন ঠিক সময়ে বেতন পায়, পেনশন পায়। সব স্কিমের টাকা পায় সময় মতো। আমার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে দিল্লিতে। সেটা এনে দিক। তিন শতাংশ ডিএ দিয়েছি, আরও তিন শতাংশ করে দেব।একটা রাজ্য দেখাও যারা পরপর চারবার ১০০ দিনের কাজে প্রথম হয়েছে। তারপরও এত কথা? বাংলা এখন মডেল হয়ে গিয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে বাংলার স্কিম সম্পর্কে জানতে আসছে। আমরা তাঁদের স্বাগত জানাই। সত্যি অন্যায় করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দুর্নীতিকে কখনও প্রশ্রয় দেব না।’