আজ সোমবার চাকরিহারাদের নিয়ে নবান্ন (Nabanna) থেকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি বলেন, ‘৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। আমার কাছে প্রচুর ফোন আসছে, অনেকে আমার কাছে আসছে। প্রত্যেকের পরিবারে যদি ৬ জন করে থাকে, তাহলে রাতারাতি প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছে। এটা বিচারাধীন বিষয়। তাই কিছু বলব না। আমি সরকারের অবস্থানটা বলব। এমনিতেই অনেক নিয়োগ বাকি আছে। এই সব ঘটনার জন্য সেগুলো আরও দেরি হচ্ছে। আমি কোর্টকে দায়ী করছি না। কোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানাচ্ছি। যাঁরা ডিএ-র জন্য প্রতিদিন চিৎকার করছে, তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজারের চাকরি চলে গেল, তাঁদের কথা কেউ ভাবছে না। কী কারণে চাকরি গেল, সেগুলো নিয়ে আমাদের আইনজীবীরা কথা বলবে।’
চাকরিহারাদের ট্রেনিং প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ দাবি করেছিল, ওরা নাকি ট্রেনিং নেয়নি। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। একটা অর্ডার ছিল, চাকরিতে ঢোকার তিন বছরের মধ্যে ট্রেনিং নিতে হবে, সেটা প্রত্যেকের নেওয়া আছে। চাকরিহারাদের আবেদন করব, ডিপ্রেশনে ভুগবেন না, মানসিক ভারসাম্য হারাবেন না, মন খারাপ করবেন না। আমাদের সরকার মানবিক। আইনি পথে যতদূর লড়তে হয় লড়ব। আমার কাছে অনেক খবর আছে। অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগছেন। কেউ যদি কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলে তখন তার দায় কে নেবে! মানুষের জীবনের দাম অনেক।’
আরও পড়ুন-দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড় মঠে গেলেন সস্ত্রীক মরিশাসের রাষ্ট্রপতি
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই বলেন, ‘আমার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে দিল্লিতে। সেটা এনে দিক। তিন শতাংশ ডিএ দিয়েছি, আরও তিন শতাংশ করে দেব। আগে তো শিক্ষকরা ১ তারিখে মাইনেও পেত না। এখন ঠিক সময়ে বেতন পায়, পেনশন পায়। সব স্কিমের টাকা পায় সময় মতো।আলিমুদ্দিন থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। কারণ আমি কাউকে বরখাস্ত করিনি। আমি জীবনে কারও কাছ থেকে কেড়ে নিতে শিখিনি। শিখেছি, পারলে কাউকে কিছু দিতে হয়। যারা ছাত্র-যুবদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে সুবিচার আশা করি না।’