প্রতিবেদন : নেতাজি সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দেশবাসীকে জানানোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাবরের অনীহা। ১৯৪৮-৪৯ সালে ঐতিহাসিক প্রতুল গুপ্তের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দফতরের ইতিহাস বিভাগ ‘আজাদ হিন্দ বাহিনীর ইতিহাস’ রচনা করে। আজ অবধি প্রকাশিত হয়নি। ২০০৮-এ নেতাজি গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষ পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি চাইলে তদানীন্তন কংগ্রেস সরকার দিতে অস্বীকার করে।
আরও পড়ুন-লা লিগা খেতাব বার্সেলোনার
২০১০-এর ৩০ সেপ্টেম্বর তথ্য কমিশনার তিন মাসের মধ্যে বইটি ছাপার নির্দেশ দিলে সরকার দিল্লি হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট ছাপার পক্ষে মত দিলে সরকার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে। প্রতিরক্ষা দফতর বইটি প্রকাশ করলে অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে কি না বিদেশ মন্ত্রকের মতামত চায়। তেমন আশঙ্কা না থাকলেও বিদেশ মন্ত্রক জানায়, পাণ্ডুলিপিতে এমন তথ্য আছে যা নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি, এমন ধারণাকেই জোরদার করবে। তাই সর্বোচ্চ স্তরে মূল্যায়ন বাঞ্ছনীয়। তারপর সব ধামাচাপা। নেতাজি অনুরাগী রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বইটির প্রকাশ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন ২০১৮-য়।
আরও পড়ুন-ধোনি-অবসর ওড়াল সিএসকে
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি হয়। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ায় মামলা এগোয়নি। অবশেষে ১৫ মে প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার এজলাসে মামলার শুনানি হল। সুখেন্দুশেখরের আইনজীবী সৌম্য চক্রবর্তী বইটি প্রকাশে কেন্দ্রের চরম উদাসীনতার কথা জানিয়ে অবিলম্বে বইটি প্রকাশের আবেদন জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি জানান, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের আপত্তি নেই। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবেচনাধীন। পরবর্তী শুনানি হবে ১০ অগাস্ট।