দুলাল সিংহ, বালুরঘাট : একদা বিচারাধীন বন্দি, এখন বিচারে মুক্ত রাজু সরকারের হাতে গড়া দুর্গাপ্রতিমা চার বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে সংশোধনাগারের চারদিকের উঁচু পাঁচিলের ভিতরে থাকা আবাসিক বন্দিদের মনখারাপের কথা ভেবে সংশোধনাগারের ভিতরেই দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু করেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। যার পর থেকে নিয়ম করে প্রতি বছর পূজিত হয়ে আসছেন দুর্গতিনাশিনী।
আরও পড়ুন-খাগড়ায় দুর্গাপুজো মহিলা পুরোহিতের
ঘটনাচক্রে ২০১৭ সালে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই বন্দি-জীবন শুরু হয় শেরপুরের রাজুর। দুর্গতিনাশিনীর উদ্দেশে নিজের জীবনের দুর্গতি ঘোচানোর প্রার্থনায় সংশোধনাগারের ভিতরেই দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেন। তার পরেই নাকি তিনি জামিন পেয়ে যান, এমনকী পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা থেকেও বিচারে মুক্ত হন বলে জানান রাজু। যদিও তারপরেও প্রতি বছর নিয়ম করে শারদোৎসবের প্রাক্কালে প্রতিমা গড়ার জন্য বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ডাক পড়ে তাঁর।
আরও পড়ুন-চান্দুডাঙা গ্রামে মহামায়া মন্দিরে পূজিত হন দেবীর কোকামুখো প্রস্তরমূর্তি
তবে এ বছর সংশোধনাগারের ভিতরে নয়, একচালা দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ করেন নিজের বাড়িতেই। ডাকের সাজের দেবীমূর্তিতে থাকছে সাবেকিয়ানার ছাপ। বর্তমানে সংশোধনাগারে আবাসিক বন্দির সংখ্যা ৮০২। মহিলা ১০১ এবং ৭ শিশু রয়েছে এর মধ্যে। কর্তৃপক্ষ এ বছর মহিলা বন্দিদের জন্য নতুন শাড়ি এবং শিশুদের নতুন জামা-কাপড় দিয়েছেন। পুজো উপলক্ষে সংশোধনাগারকে আলোয় সাজানো হয়েছে। নবমী অথবা দশমীতে সংশোধনাগারের ভিতরে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর দিনগুলিতে বন্দিদের জন্য থাকছে বিশেষ মেনুর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। সুপার নবীন কুজুর জানান, এ বছর প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা বাজেটের পুজোর থিম কৃষি