প্রতিবেদন : ৭৬ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এ-বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এ-বছর পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। গতবারের চেয়ে তা প্রায় ০.৪৫ শতাংশ কম। মেধাতালিকার প্রথম দশে নেই কলকাতার কোনও স্কুল। প্রথম দশে ১৬টি জেলা থেকে জায়গা করে নিয়েছে ১১৯ জন। ফলাফলে এবার জেলার জয়জয়কার। ছেলেদের টেক্কা দিয়েছে মেয়েরা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ফল ঘোষণা করেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলাফলের পাশাপাশি আগামী বছরের পরীক্ষার দিনক্ষণও ঘোষণা করেন পর্ষদ সভাপতি। মেধাতালিকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী রয়েছে মালদহের। ফলাফলে এবার চমক দিয়েছে জঙ্গলমহলও।
আরও পড়ুন-৩২ হাজারই চাকরিতে বহাল, বিচারপতির নির্দেশে স্থগিতাদেশ
এবার মাধ্যমিকে জেলারই জয়জয়কার। ১৬টি জেলা থেকে মোট ১১৯ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন। তার মধ্যে শুধু মালদহ থেকেই আছেন ২১ জন। ৬৯৭ পেয়ে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাজি। ৬৯১ পেয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদহের রিফাত হাসান সরকার। তৃতীয় স্থানে ৬ জন পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন-মাঝপথে ফিরে আজ নিজামে অভিষেক, ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুক
এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন ৬,৮২,৩২১ জন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ৫,৬৫,৪২৮ জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাশের হার সবচেয়ে বেশি, ৯৬.৮১ শতাংশ। পাশের হারে দ্বিতীয় কালিম্পং। তাঁদের পাশের হার ৯৪.১৩ শতাংশ। ৯৩.৭৫ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় কলকাতা।
অনেকদিন পর এবার মেধা তালিকার প্রথম দশে নেই কলকাতার কোনও স্কুল। ২০১৫ থেকেই শহরের ফলাফল নিম্নমুখী। তবে এবার সব নজির ভেঙে মেধাতালিকাতে জায়গাই পেল না কলকাতা। এ-বছর চমকে দিয়েছে জঙ্গলমহল। মেধাতালিকায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের একঝাঁক উজ্জ্বল মুখ। প্রথম দশে বাঁকুড়ার ১৩, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ ও পুরুলিয়ার ৬ জন পরীক্ষার্থী।
আগামী বছর কিছুটা এগিয়ে এল পরীক্ষা। ২০২৪-এর মাধ্যমিক শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে। শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব ছাত্র-ছাত্রীকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।