সৌমেন্দু দে, নানুর : ডিভিসির জলে ভেসে গিয়েছে গ্রামের দুর্গা মন্দির। এবার হয়তো পুজো হবে না এমন আশঙ্কার মেঘ যখন গ্রামবাসীদের মনে তখন হাত বাড়িয়ে দিল প্রশাসন। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে দূর্গা পূজার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ করিম খান। তাঁর সাহায্যে পুজোর রোশনায় আলোকিত হয়েছে গ্রাম। মন খারাপ ভুলে গ্রামবাসীরা সামিল হয়েছেন উৎসবে।
আরও পড়ুন-মন্তেশ্বরের মূলগ্রামে পালাকারের পুজো
সুন্দরপুর গ্রামের দুর্গাপূজা উৎসব হবে না এটা হতে পারে না, তিনি নিজে ঠাকুর তৈরির দায়িত্ব দেন স্থানীয় এক শিল্পীকে। দুর্গামন্দির যেখানে ছিল সেখানেই হয়েছে পুজো মণ্ডপ। পুজোর চারদিন রয়েছে খাওয়ার ব্যবস্থাও। পুরো রাস্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে আলোতে। দুর্গাপূজার যাবতীয় খরচা বহন করছেন করিম খান নিজে। গ্রামের গৃহবধূ আল্পনা মাঝি বলেন ‘করিমবাবুকে ধন্যবাদ জানোর ভাসা নেই। উনি আমাদের অভিভাবক। আমদের মুশকিল আসান। ওনার জন্য আমরা আজ উৎসবে মেতেছি।’