প্রতিবেদন : বেআইনি বাজি কারখানার শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকার (West Bengal Government) বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হচ্ছে। এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর নবান্নের (Nabanna) নির্দেশে বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও সেখানকার শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা রক্ষার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েত, সমাজকল্যাণ, সমবায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরকে নিয়ে এই সব শ্রমিকদের পুনর্বাসনের একটি পরিকল্পনা তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের সর্বত্র বেআইনি বাজি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে এই সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। এই তথ্য ভাণ্ডার অনুযায়ী রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স জেলায় জেলায় অভিযান চালাবে। ইতিমধ্যেই হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনার মতো বিভিন্ন জেলায় বেআইনি বাজি কারখানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রচুর বাজি ও মশলা উদ্ধার করেছে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, কারা বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে এবং কখনও কোনও বিস্ফোরণ হয়েছে কি না, কারও বিরুদ্ধে কখনও অভিযোগ এসে থাকলে সংশ্লিষ্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তার পরিসংখ্যান পুলিশকে রাখতে বলা হয়েছে। বেআইনি কারখানার মালিক ধরা পড়ার পর জামিন পেলে, তা কীভাবে পাচ্ছে, চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে কি না, এসব নথি আদালত থেকে সংগ্রহ করে তথ্য ভাণ্ডারে রাখতে হবে। বেআইনি কারখানা মালিকের আত্মীয়স্বজন ভিন রাজ্যে থাকলে, সে-তথ্যও জোগাড় করা দরকার। যাতে কারখানার মালিক সেখানে লুকিয়ে থাকলে তাকে পাকড়াও করা যায়। একই সঙ্গে বাজি তৈরির উপকরণের সরবরাহ বন্ধ করতেও কড়া নজরদারি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসচেতনতা ও বন্ধ করাখানার শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ওপর। অবৈধ বাজি কারখানায় যে-সমস্ত এলাকার লোকেদের কাজে লাগানো হয়েছে, তাঁদের বিকল্প জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা আপাতত স্থানীয় প্রশাসনকেই করতে হবে। পাশাপাশি কারখানায় কাজ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়েও লাগাতার প্রচার চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘২০০০ টাকার নোটের তুঘলকি নোট বাতিলের নাটক’ তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের