প্রতিবেদন : এবার আদালতে তৃতীয় পত্রবোমা সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের। নিজের হাতে লেখা চিঠিতে তাঁর ক্ষুব্ধ সুরে অভিযোগ, কাঁথিতে তাঁকে নিয়ে গিয়ে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাইয়েরা বহুতল আবাসন প্রকল্পে ফাঁসিয়ে টাকা নিয়েছে, তার তদন্ত হচ্ছে না কেন? এর আগের চিঠিতেও সুদীপ্ত কয়েক কোটি টাকার ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন। এবারের চিঠিতে শুধু কাঁথি পুরসভায় প্ল্যান অনুমোদনের নামেই ড্রাফট ও নগদে ৭০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে পাঠানো এই চিঠিটিতে অন্য সব বিষয়ের পুনরাবৃত্তি না করে শুধু কাঁথির প্রকল্প নিয়ে লিখেছেন সুদীপ্ত। প্রশ্ন তুলেছেন সারদা-তদন্তে কেন এগুলি আনছে না সিবিআই? জেলে বসে লেখা বিবৃতি তিনি বৈধ পদ্ধতিতে প্রিজনার্স পিটিশন দিয়ে সুপারের মাধ্যমে সিএমএম কোর্টে পাঠিয়েছেন। বিচারক চিঠি গ্রহণ করে কেস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ফলে এটি মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যরা দেখতে পাচ্ছেন। এই মামলায় থাকা কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী চিঠিটি দেখে কুণালকে জানান। এরপর তার সার্টিফায়েড কপি তোলা হয়। ১১ মে ২০২৩ তারিখের এই চিঠিটির কপি তুলে এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল। তিনি বলেন, জনৈক বন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি, যেখানে অভিষেকের নামে কোনও অভিযোগ নেই, তার সঙ্গে জড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই ডেকে পাঠালে, সারদাকর্তার চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দুদের গ্রেপ্তার করা হবে না কেন? সাংবাদিকদের সামনে সুদীপ্তর চিঠির কোর্টের সার্টিফায়েড কপিও তুলে ধরেন কুণাল।
আরও পড়ুন-বেগুনি স্রোতে ঢাকল সবুজ-মেরুন, মোহন সমর্থকদের মাঠে ঢুকতে বাধা
তিনি আরও বলেন, কুন্তল ঘোষের চিঠিতে কোনও অভিযোগ ছিল না। শুধুমাত্র কথার জাগলারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চব্বিশ ঘণ্টার কম সময়ের নোটিশে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। তবে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে কেন দলবদলু শুভেন্দুকে ডাকা হবে না! আবারও প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি আবারও জেল থেকে চিঠি লিখে গদ্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ— শুভেন্দু-সৌমেন্দু কখনও নগদে কখনও ড্রাফটে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? যারা আমার কাছ থেকে টাকা তুলল কাঁথি পুরসভা নিয়ে প্ল্যান স্যাংশনের জন্য। নগদ পরের ধাপ। ৫০ লক্ষ টাকা সারদার থেকে ড্রাফটে ঢুকেছে। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, এর আগে দুবার লিখেছেন। এটা তৃতীয় চিঠি। ১১ মে লিখেছেন। আদালতে এসেছেন। সিএমএম কেস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বৈধ পদ্ধতিতে পাঠানো। তার সার্টিফায়েড কপি আমরা তুলেছি। প্রিজনার্স পিটিশনে। আদালতের নিয়ম মেনে।