প্রতিবেদন : বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে সরকারি কর্মীদের একাংশের আগামী সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাকের প্রেক্ষিতে সরকারি দফতরের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। প্রস্তাবিত কর্মবিরতির দিনগুলিতে কয়েকটি ব্যতিক্রমী কারণ ছাড়া সরকারি কর্মীদের দফতরে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যথায় কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-ফের সারদাকর্তার চিঠি, কেন গ্রেফতার নয় গদ্দার
শনিবার নবান্নে অর্থ দফতর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘোষিত কর্মবিরতির সময়ে দফতরের কাজে যোগ না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বেতন কাটা হবে। কর্মজীবনেও ছেদ পড়বে। ওই সময় কর্মীদের কোনও ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। তবে ১৯ তারিখের আগে থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে থাকলে, হাসপাতালে ভর্তি হলে, আত্মীয় বিয়োগ হলে ছাড় মিলবে। যাঁরা ইতিমধ্যেই মাতৃত্বকালীন ছুটি বা চাইল্ড কেয়ার লিভে রয়েছেন বা শুক্রবারের আগে থেকেই ছুটিতে রয়েছেন তাঁদের জন্য এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে না।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
একই সঙ্গে অফিসে হাজিরা দেওয়ার পরেও কর্মীদের কাজ না করে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার প্রবণতা আটকাতেও পৃথক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সরকারি অফিসে শুধুমাত্র দুপুর দেড়টা থেকে দুটো পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজনের নির্ধারিত বিরতির সময় ছাড়া অফিস ছাড়া যাবে না। সেই সময় টিফিন করা ছাড়া অন্য কর্মসূচিতে যোগ দেওয়াও যাবে না। করলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে অনুপস্থিত হিসাবে গণ্য করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।