প্রতিবেদন : বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট বিরোধীরা। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট করল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ ২০টি বিরোধী দল। যার মূল কান্ডারি অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই নবান্নে দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। বুধবারই জোটবদ্ধ বিরোধী শিবির। রবিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে ২০ দল যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সংসদে যখন গণতন্ত্রের আত্মাকে হত্যা করা হয় তখন নতুন ভবনের আলাদা গুরুত্ব নেই। রাষ্ট্রপতির হাতে সংসদ ভবনের উদ্বোধন হওয়া উচিত ছিল। না হওয়াটা দেশের পক্ষে লজ্জার। এবং বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতির ফসল।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মঙ্গলবার রাতে সর্বপ্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত অসংসদীয় অসৌজন্য। সাভারকর, যিনি ব্রিটিশদের সহমর্মী ছিলেন, তাঁর জন্মদিনেই কেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে? তৃণমূলের সঙ্গে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস বয়কটের সিদ্ধান্ত জানায়। একে একে অন্যান্য বিরোধীরা। সংবিধানের ৭৯ নং ধারায় বলা হয়েছে, সংসদের অংশ রাজ্যসভা-লোকসভা ও রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি অধিবেশন ডাকবেন, মুলতুবি করবেন, ভেঙে দিতেও পারবেন। সংসদের যে কোনও সভা বা যৌথ সভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে বার্তাও পাঠাতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন-লাখো মানুষের স্লোগানে অঙ্গীকার
ফলে সংবিধানের সংসদীয় কার্যপ্রণালীতে প্রধানমন্ত্রী নয়, রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সর্বাধিক। তাঁকে বাদ দিয়েই রাজনৈতিক মাইলেজ পেতে ন্যক্কারজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ বিজেপি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় দ্রৌপদী মুর্মুকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে সম্মান দেওয়ার যে মিথ্যাচার করা হয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া গেল এই ঘটনায়। বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সংখ্যাটি ২০তে নিয়ে গেল তেলেঙ্গানা ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি। বিজেপির প্রবল চাপেও কোনও লাভ হয়নি।