সংবাদদাতা, হাওড়া : আইএনটিটিইউসি’র উদ্যোগে অচলাবস্থা কাটছে হাওড়া দাসনগরের ভারত জুটমিলের। দীর্ঘ প্রায় তিনমাস পর শুক্রবার থেকে ফের খুলল ভারত জুটমিল। তার আগে ভারত জুটমিলের অচলাবস্থা কাটাতে হাওড়া জেলা শ্রম কমিশনারের উপস্থিতিতে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে আইনটিটিইউসির হাওড়া সদরের সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার, শিবপুর কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহেন্দ্র শর্মা, হাওড়া জেলা (সদর) আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক তরুণ মাঝি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মিলের প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে মিল চালুর বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে রফাসূত্র বের হয়।
আরও পড়ুন-৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে হাওয়ার দাপট, আজও চলবে ঝড়-বৃষ্টির দাপট
ঠিক হয়, শুক্রবার থেকে মিল চালু হবে। প্রথমে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। আগামী সোমবার প্রত্যেক শ্রমিককে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ৭ জুন শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে। তারপর মিলের উৎপাদন শুরু হবে। এর মধ্যে ধাপে ধাপে মিলের ৭০০ শ্রমিককেই কাজে নিযুক্ত করা হবে। বৈঠকের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন ফের মিলটি চালু হয়। শুরু হয় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। কয়েকশো শ্রমিকও কাজে যোগ দেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার জুটমিলগুলিকে ক্রমশ রুগ্ণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে সংসদে সরব হয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জুটমিলগুলিকে বন্ধ হবার করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে। চটের ব্যাগ বেশি করে ব্যবহারের কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে চটের ব্যবহার কমিয়ে দিতে চাইছে। আমরা কেন্দ্রের এই কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ এদিকে ফের মিল খোলায় শ্রমিক মহল্লায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। এদিন আইএনটিটিইউসির হাওড়া সদরের সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার দাঁড়িয়ে থেকে মিল চালু করান।
আরও পড়ুন-কবি নজরুলের জীবনে নারী
সকালে কাজে যোগ দিতে আসা শ্রমিকরা মিল গেটে আনন্দে মেতে ওঠেন। প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার জানান, ‘‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার থেকে ফের মিল চালু হয়ে গেল। কয়েকদিনের মধ্যেই মিলের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ৭ জুনের পর থেকে উৎপাদনও শুরু হবে।’’