আজ এগরায় (Egra) মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে কারণ এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সেখানে। এদিন সভাস্থলে এসেছেন নিহতদের পরিবার। অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে এদিন কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৬ মে খাদিকুলে বিস্ফোরণ হয় এবং তার ফলে ১২ জন মারা যান। এডিজি সিআই এফ জ্ঞানবন্ত সিং, ডিআইজি মেদিনীপুর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিরেক্টর সিকিউরিটি, এসপি, ডিএম-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সকলেই উপস্থিত আছেন। এরপর আজ শনিবার ২৭ মে দুই মেদিনীপুরে দুই কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন-ফাইনালের টিকিট নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড
এদিন সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে বেআইনি বাজি কারখানায় ১১ জন মারা গিয়েছেন। যাঁরা চাকরি করতেন, মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আমরা ঠিক করেছি আগামী ২ মাসের মধ্যে আমার কাছে রিপোর্ট আসবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি হয়েছে। বেআইনি বাজি কারখানায় ফায়ার ক্র্যাকার্স তৈরি করে অনেকের পেট চলে। চাকরি যাতে কারও নষ্ট না হয় দেখব। তবে জীবন যেন নষ্ট না হয় তার জন্যও পরিকল্পনা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন-প্রাচীন ভাষাশিক্ষা চর্চায় খুলে গেল নবদিগন্ত, আগামী সপ্তাহে কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি
চাকরির আশ্বাস দিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যেখানে যেখানে বেআইনি বাজি কারখানা আছে, আমরা নিজেরা সরকার থেকে বাজি কারখানা তৈরির ক্লাস্টার তৈরি করব। বাজি কারখানার মালিক যাঁরা সবুজ বাজি তৈরি করতে চান, সেইরকম ধরনের ক্লাস্টার করব। তাতে চাকরিও বাঁচবে। বাজিও নানা কাজে লাগে। ফায়ার ক্র্যাকার তৈরি বেআইনি। কিন্তু অনেকে পয়সার লোভে বেশি লোভ করতে চায়। নিজেও মারা গেল, এতগুলো লোককে নিয়ে গেল। ফায়ার ক্র্যাকার্স না করে গ্রিন ক্র্যাকার্স করলেও চলে।’