এগরার খাদিকুলে (Egra Khadikul) গত ১৬ মে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ১২ জন মারা যান। সেখানেই আজ পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সেখানেই সভামঞ্চ বিভিন্ন প্রসঙ্গে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফায়ার ক্র্যাকার তৈরি বেআইনি। কিন্তু অনেকে পয়সার লোভে বেশি লোভ করতে চায়। নিজেও মারা গেল, এতগুলো লোককে নিয়ে গেল। ফায়ার ক্র্যাকার্স না করে গ্রিন ক্র্যাকার্স করলেও চলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজি কারখানায় নিহতদের সকলের পরিবারকে বলব, দুর্বল না লড়াই করতে হবে। এটা আমার হাতেও ছিল না আপনার হাতেও ছিল না। যিনি বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করেছেন, তাঁর জীবনও চলে গিয়েছে। তাঁর পরিবারের দু’জন গ্রেফতারও হয়েছেন। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় তিনি নাম বদল করে কটকের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আমাদের পুলিশ সেখানে পৌঁছেও গ্রেফতার করে।’
আরও পড়ুন-এগরায় বাজি কারখানা তৈরির আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এলাকার লোকজনকে বলব, ওসিকে জানান এরকম বেআইনি বাজি তৈরি হলে। ওসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকে বলুন। ২ দিনে ওসিকে বদলে দেবো। এখানকার ওসিকেও বদলানো হয়েছে। কারণ, তাঁকে বলা সত্ত্বেও অ্যাকশন নেননি। উপরমহলের ইন্টালিজেন্স যদি সঠিক সময়ে কাজ করত তাহলে এরকম হতো না। আমি জানি ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে অনেক অস্ত্র আসে, এটা ওড়িশা বর্ডার। এখান থেকে ক্র্যাকার্স বানিয়ে ওড়িশায় যায়। আমার নলেজে সবই আছে। বর্ডার সিল করুন। হোমগার্ডের চাকরি যাঁরা পেলেন, বর্ডারে নিযুক্ত করুন। এলাকায় কাজ করবে, বাইরেও যেতে হবে না। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে পারবে।’
আরও পড়ুন-ফাইনালের টিকিট নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড
এদিন খারাপ আবহাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারগুলোতে সাহায্য় করতে আজ এসেছি। অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছি এখানে আসার। কিন্তু আকাশের মুখ এত গম্ভীর, পরিস্থিতি আমাকে অ্যালাও করেনি। কিন্তু আজ সকালেও যখন বৃষ্টি হচ্ছিল, রিস্ক নিয়ে বেরিয়ে এসেছি। আমাকে একবার আসতেই হবে। আমি আপনাদের সকলের কাছে আমার মাথা নত করে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি এবং আপনাদের যদি কোনওরকম কোনও সহযোগিতা করতে পারি আপনারা বলবেন।’