নয়াদিল্লি : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রীর দেখানো পথেই হাঁটলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। একইসঙ্গে দিল্লির নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বৈঠক বয়কট করছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ফলে নীতি আয়োগের বৈঠকের মঞ্চেও কার্যত একজোট বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-বিশ্বে আধুনিক দাসত্বের শীর্ষে মোদির ভারত, শৃঙ্খলিত শ্রমিক ১.১ কোটি
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লি সরকারের প্রশাসনিক অধিকার কেড়ে নিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে অধ্যাদেশ জারি করেছে তার প্রতিবাদে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন-রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তি, বাংলা-বিরোধী মনোভাব নীতি আয়োগের নীতিতে
আমলা নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত ক্ষমতা দিল্লি সরকারের হাতে থাকবে বলে ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা সত্ত্বেও মোদি সরকার সেই নির্দেশ অমান্য করে অধ্যাদেশ এনেছে আমলা বদলির ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেওয়ার জন্য। সেই অধ্যাদেশ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার কথা। কেজরিওয়ালের কটাক্ষ, ফেডারালিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তামাশায় পরিণত হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে। আপশাসিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও শনিবারের নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার কথা ঘোষণা করেছেন।