নয়াদিল্লি : সংসদের অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েও মোদি জমানায় নতুন সংসদ ভবন (New Parliament House) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য থাকলেন দেশের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি। এর প্রতিবাদে অনুষ্ঠান বয়কট করল দেশের ২১ বিরোধী দল। তারপরেও রবিবার এই অনুষ্ঠানকে কার্যত আত্মপ্রচারের মঞ্চ হিসাবে বেছে নিয়ে চরম অসাংবিধানিক অসৌজন্য দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর প্রতিবাদে দিনভর সরব হল দেশের বিরোধী দলগুলি।
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বিরোধীদের কড়া মন্তব্যে দিনভর তপ্ত ছিল রাজধানীর রাজনীতি। নতুন সংসদ ভবনের নকশাকে কফিনের সঙ্গে তুলনা করে টুইট করে আরজেডি। আরজেডির এই ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার হুমকি দেন বিজেপির সুশীল মোদি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মপ্রচারের (আমি শুধু নিজেকে ভালবাসি) কাজটি করে ফেলেছেন। তবে তাঁর সরকার ৯ বছরে সংসদকে কীভাবে অপমান করেছেন সেটা তুলে ধরা যাক। ডেরেকের অভিযোগ, সংসদে এখনও একটিও প্রশ্নের জবাব দেননি প্রধানমন্ত্রী। আগে প্রতি ১০টি বিলের মধ্যে ৭টি বিল স্ক্রুটিনি হত, এখন হয় ১টি। ডেরেকের দাবি, আগের থেকে অর্ডিন্যান্স দ্বিগুণ হয়েছে, গত ৮টি অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়েছে, বিলগুলিতে বিরোধীদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং চার বছর হয়ে গিয়েছে এখনও লোকসভায় কোনও ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ হয়নি। তৃণমূল সাংসদ আরও বলেছেন, আমাদের মহান সংসদীয় গণতন্ত্রের অপমান বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন-ইকবাল সরিয়ে সাভারকর! ফের পাঠ্যসূচি-বিতর্ক
প্রধানমন্ত্রীকে এদিন সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতি মনে করিয়ে খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে লিখেছেন, সংসদ মানুষের কথা বলার স্থান। প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের (New Parliament House) উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে রাজার অভিষেক মনে করছেন। শিবসেনা (উদ্ধব) সাংসদ সঞ্জয় রাউত মোদিকে তুলোধোনা করে বলেন, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাত্য খোদ রাষ্ট্রপতি, এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে এক বিপজ্জনক প্রবণতা। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ২৮ মে তারিখে কী কী ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে তার একটি তালিকা ট্যুইট করেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেন, ওখানে যা যা হচ্ছে দেখে আমি চিন্তিত। আমরা কি দেশটাকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছি?