প্রতিবেদন : বিপাকে গদ্দার। কাঁথি পুরসভার অ্যাকাউন্টে সারদার টাকা গিয়েছে কি না এবার তার তদন্ত করবে সিবিআই, বুধবার এমনই নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে জেল থেকে সারদা কর্তা চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, একটি বহুতলের প্ল্যান অনুমোদনের নামে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে ড্রাফটে ৫০ লক্ষ ও নগদে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছিল কাঁথি পুরসভা। সেই চিঠি নিয়ে এক আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন সিএমএম আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন-সাক্ষীদের জন্য আজ গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে মোমবাতি মিছিল, সুবিচার চেয়ে রাজপথে মুখ্যমন্ত্রী
আদালতের নির্দেশের পর নিঃসন্দেহে বিপদ বাড়ল কাঁথির অধিকারী পরিবারের। সারদা কর্তা চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, কাঁথিতে একটি বহুতল নির্মাণ ও তার প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ড্রাফটে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইন বলছে, সাধারণ ভাবে জি প্লাস ফোর-এর বেশি প্ল্যান অনুমোদন করার এক্তিয়ার পুরসভার নেই। প্রস্তাবিত যে বহুতলের প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল তা ২২ তলার। এছাড়াও জমি কেনার জন্য বহু টাকা নগদে নেওয়া হয়েছিল। প্ল্যান অনুমোদনের অজুহাতে বিপুল অঙ্কের টাকা ড্রাফটের পাশাপাশি নগদেও নেওয়া হয়েছিল। এভাবেই প্রতারিত হয়েছিলেন সারদা কর্তা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এর তদন্ত চেয়েই চিঠি দেন সারদা কর্তা। এখন সত্যিই সারদার টাকা কাঁথি পুরসভার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কি না তার তদন্ত করবে সিবিআই। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ সামনে আসার পর গদ্দার মানুষকে ভুল বোঝাতে অনেক কথা বললেও একবারও বলছেন না পুরসভার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে কি না। তবে তদন্তে যদি তা প্রমাণিত হয় তাহলে গদ্দারের কী পরিণতি হবে, সে প্রশ্নও উঠছে। বুধবার সিএমএম এজলাসে সারদা কর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে একটি পিটিশন দাখিল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেন বিচারক।