নয়াদিল্লি : রেলের সুরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে যখন সমালোচনা তীব্র হয়েছে, তখন নতুন সাফাই দিল রেল বোর্ড। তাদের সাফাই, ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, কোনও প্রযুক্তিই এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারত না। দুর্ঘটনার দুদিন পর রবিবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে এই উপলদ্ধির কথা জানালেন রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা। তিনি জানান, শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে, অন্য দুটি ট্রেন নয়।
আরও পড়ুন-এবার কী বলবেন মোদিজি, অ্যাক্ট অব গড নাকি অ্যাক্ট অব ফ্রড
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা দুর্ঘটনার বেনজির বিপর্যয়ের প্রশাসনিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ট্রিপল-ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রায় তিনশো যাত্রী নিহত হওয়ার দুদিন পরে, রেলওয়ে বোর্ড ব্যাখ্যা করেছে ট্রিপল ট্রেনের সংঘর্ষ কীভাবে হয়েছিল। রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা বলেছেন, স্টেশনে চারটি লাইন আছে। দুটি প্রধান লাইন। ওই লাইনে ট্রেন থামে না। অন্য দুটি লাইন হল লুপ লাইন। যদি আমাদের একটি ট্রেন থামাতে হয়, আমরা তাদের লুপ লাইনে থামাই। দুর্ঘটনার সময় আপ ও ডাউন দুটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ভিন্ন দিকে।
আরও পড়ুন-প্রখর তাপে পর্যটকশূন্য শুনশান অযোধ্যা পাহাড়
রেল বোর্ডের এই সদস্য এই প্রসঙ্গে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। এক, স্টেশনে প্রধান লাইনগুলি মাঝখানে এবং লুপ লাইনগুলি প্রধান লাইনগুলির উভয় পাশে থাকে। দুই, দুর্ঘটনার সময় দুটি এক্সপ্রেস ট্রেনের পথ তৈরি করতে দুটি ট্রেন থামানো হয়েছিল, যা থামার কথা ছিল না। লুপ লাইনে সেই সময় দুটি পণ্যবাহী ট্রেন অপেক্ষা করছিল। তিন, করমণ্ডল এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য দুটি প্রধান লাইন খালি রাখা হয়েছিল। সবকিছু ঠিক ছিল, সবুজসংকেত ছিল। সবুজসংকেত মানে চালকের জন্য সামনের পথ পরিষ্কার এবং চালক সর্বোচ্চ গতি ব্যবহার করতে পারেন।